উপনির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার ভূমিকা কী? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ বামফ্রন্ট মনোনীত এবার সিপিআইএম প্রার্থীর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সেটা দু’জায়গায়। আর একটি জায়গায় বামফ্রন্ট মনোনীত আরএসপি প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস ভবানীপুরে প্রার্থী দেয়নি। সুতরাং সংযুক্ত মোর্চা বলে উপনির্বাচনে কিছু থাকছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
এই পরিস্থিতিতে ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে সিপিআইএম প্রার্থীর সমর্থনে প্রচারে আসতে পারেন সংযুক্ত মোর্চার একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলে সূত্রের খবর। সিপিআইএমই আমন্ত্রণ করে ঐক্যের বার্তা তুলে ধরতে চেয়েছে। আইএসএফ–এর পক্ষ থেকে আগ বাড়িয়ে কিছু বলা হয়নি। এই নিয়ে দলের অন্দরে নানা ফিসফাস শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট গড়ে ২০১৬ এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু উপনির্বাচনে হাইকমান্ডের নির্দেশে প্রার্থী দেয়নি তারা। এমনকী সিদ্ধান্ত হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সিপিআইএম প্রার্থীর হয়ে প্রচারেও নামবে না কংগ্রেস। আই আইএসএফ–বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী–কে ডেকে এনে মুখরক্ষা করার কৌশল বলে মনে করছেন অনেকেই। ইতিমধ্যেই আশীতিপর বামপন্থী নেতা বাদল চট্টোপাধ্যায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মমতাকে জেতানোর কথা বলেছেন।
এন্যদিকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর আইএসএফ রাজ্য কমিটি বৈঠকে বসবে। সেখানেই উপনির্বাচনে বামফ্রন্ট প্রার্থীকে সমর্থনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই বিষয়ে আইএসএফ মুখপাত্র সৌমিত্র দস্তিদার বলেন, ‘আমরা বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করব।’ জানা গিয়েছে, এখন দলের মুখ নওশাদ তাই তাঁকে সামনে রেখেই ভবানীপুর–সহ উপনির্বাচনে বামফ্রন্টের প্রার্থীদের প্রচারে যেতে পারেন বিধায়ক।