বার বার ব্যবহারে ভোঁতা হয়ে গিয়েছিল অস্ত্রটা। কিন্তু সেই ধর্মঘটকেই হাতিয়ার করে বছরের পর বছর কাটিয়ে গিয়েছে বামফ্রন্ট, বলা ভালো সিপিএম। এনিয়ে বার বার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বাম শিবিরকে। এবার সেই ভোঁতা হয়ে যাওয়া ধর্মঘট- বনধের রাস্তা থেকে কিছুটা সরে দাঁড়াতে চাইছে বামশিবির। সূত্রের খবর। কিন্তু বিকল্প রাস্তা তো খুঁজতেই হবে? এদিকে ধর্মঘটের জেরে আখেরে সাধারণ মানুষের কী লাভ হয় তা নিয়ে ইতিমধ্যে বামেদের অন্দরেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের বাম কর্মীদের অনেকেই ধর্মঘট, বনধের উপর আর আস্থার রাখতে চাইছেন না। সব মিলিয়ে এবার বিকল্প পথ খুঁজছেন সিপিএম নেতৃত্বও।
কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে আগামী ২৩ ও ২৪শে ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। কিন্তু বাংলায় সেই ধর্মঘট বাতিলের দাবি উঠতে শুরু করেছে। তা নিয়ে মতামত নিতে বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুটি বৈঠক হয়। তবে ওই দুদিন সাধারণ ধর্মঘট পালন না করে শিল্প ধর্মঘট চাইছেন বাংলার সিপিএম নেতৃত্বের অনেকেই।
এদিকে সিপিএমের অনেকের মতে পুর নির্বাচনের প্রচারের একেবারে শেষ লগ্নে ধর্মঘট পালন করলে আখেরে দলেরই ক্ষতি। এর জেরে প্রচার কর্মসূচি ব্যাপকভাবে ধাক্কা খেতে পারে। তাছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যে বামেদের প্রতি যেটুকু সমর্থন ফিরে আসছে সেটাও ফের তলানিতে চলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ধর্মঘটের রাস্তায় না হেঁটে প্রচারের রাস্তাতেই হাঁটতে চাইছেন বাম নেতারা। কার্যত ধর্মঘট নিয়ে ধর্ম সঙ্কটে বাম শিবির।