সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে অমিত শাহের নৈশভোজ। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সবাই দেখেছেন। আবার তারপর সৌরভ ভারসাম্য রেখেছেন ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে। এই পরিস্থিতি নিয়ে এবার মুখ খুললেন সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। শাহী ভোজের পিছনে নিশ্চয়ই কোনও উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করেন বর্ষীয়ান বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য।
ঠিক কী বলেছেন অশোকবাবু? সৌরভ ভবনে শাহী নৈশভোজ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সৌরভের সঙ্গে এমন কিছু তো সম্পর্ক নেই অমিত শাহের! অথচ তিনি তাঁর দলবল নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সৌরভের বাড়িতে। নিশ্চয়ই কিছু উদ্দেশ্য ছিল।’ তবে কী উদ্দেশ্য ছিল? তা নিয়ে কিছু খোলসা করেননি কোনও পক্ষই। তবে এই মন্তব্য এখন রাজ্য–রাজনীতিতে চর্চার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে আসা নিয়ে তাঁর স্ত্রী ডোনার ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যের পর সতর্ক করলেন এই বামপন্থী নেতা। কী সতর্কবার্তা দিলেন অশোক ভট্টাচার্য? এই বিষয়ে অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি অতীতেও সৌরভকে বারবার বলেছি ওঁর রাজনীতিতে আসা ঠিক হবে না। বাংলার মানুষ চায় না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতিতে আসুক। একুশের নির্বাচনের আগেও সৌরভের সঙ্গে আমার যখন দেখা হয়েছিল, ওঁকে বলেছিলাম, তোমার মতো এই মাপের মানুষের রাজনীতিতে আসা উচিত নয়। জল্পনা তো অনেকরকমই রটে। এবার ওঁ কী সিদ্ধান্ত নেবে সেটা একান্তই ওঁর বিষয়।’
ঠিক কী বলেছিলেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়? সৌরভ ঘরণীর মন্তব্য, ‘সৌরভ রাজনীতিতে এলে ভালই করবেন। তবে গতকালের নৈশভোজে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি।’ এমন মন্তব্য কোন জল্পনাকে উসকে দিচ্ছে? দুটি বিষয় উঠে আসছে। এক, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা। দুই, সৌরভ বিজেপির সঙ্গে পরোক্ষে জুড়ে থাকতে পারে। ঠিক যেমন একসময় শচীন তেন্ডুলকর ছিলেন। আইপিএলের চেয়ারম্যান তথা কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লাই শচীনকে গান্ধী পরিবারের কাছাকাছি এনেছিলেন। এমনকী ১০ জনপথে গিয়ে সোনিয়ার সঙ্গে দেখাও করেছিলেন শচীন। তার পরই তাঁকে রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য করা হয়। সৌরভের ক্ষেত্রেও এমন কিছু ঘটে কিনা সেটাই দেখার।