প্রয়াত হলেন অশোক ভট্টাচার্যের জীবনসঙ্গী রত্না ভট্টাচার্য। একই সংগ্রামের পথিক ছিলেন তিনি। শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র এবং রাজ্যের প্রাক্তন পুর–নগরোন্নয়নমন্ত্রী সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যর স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে বাড়াবাড়ি হয়। আর বুধবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য নিজে এই খবর দিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আমার ৪১ বছরের জীবনের সঙ্গী, আমার লড়াই সংগ্রামের সঙ্গী, আমার অনুপ্রেরণা—আমার স্ত্রী রত্না ভট্টাচার্য চলে গেল।’ এই কথার মধ্যে দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর জীবনের লড়াই–সংগ্রাম থেকে চড়াই–উতরাইয়ের পথে বারবারই তিনি পেয়েছিলেন স্ত্রী রত্নাকে। আজ তিনি প্রয়াত।
জানা গিয়েছে, অসুস্থ হওয়ার পর প্রথমে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে বেশ কিছুদিন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার রত্না ভট্টাচার্যকে কলকাতায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২১ অক্টোবর স্ত্রীর অসুস্থতা নিয়ে ফেসবুকেই লিখেছিলেন অশোকবাবু। আজ যেন তারই আপডেট দিলেন।
সিপিআইএম সূত্রে খবর, রত্না ভট্টাচার্য দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। দলের সবার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। এমন একজন নেত্রী যাঁর কোনও সমালোচক ছিল না। খুব ভাল লুচি–আলুর দম করতেন এবং বাড়ি গেলে সকলকে আন্তরিকতার সঙ্গে খাওয়াতেন। আজ অশোক ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘ও শুধু দলের একজন সদস্য ছিল না, ছিল একজন লড়াকু নেত্রী। আমার সহধর্মিনী বলে বলছি না, ও ছিল একজন প্রকৃত ভাল মেয়ে, একজন উদার, নমনীয়, সবাইকে ভালবাসতে পারত। মন্ত্রী বা মেয়রের স্ত্রী হিসেবে ওর নিজের মধ্যে কোনও দিন কোনওরকম ঔদ্ধত্য ছিল না।’