তাঁর কোনও বিকল্প এখনও নেই। এমনকী খুঁজে পাওয়াও যায়নি। তাই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিপিআইএমের অশীতিপর বিমান বসুকেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান পদে রেখে দেওয়া হচ্ছে। তিনি শরিকদের কাছে অভিভাবক। দলের রাজ্য কমিটিতে তিনি নেই। কিন্তু শরিকদের অভিভাবক বিমান বসুকেই সকলের পছন্দ। তাই শরিকদের দাবি মেনে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান থাকছেন বিমান বসু।
ঠিক কী সিদ্ধান্ত হয়েছে? মুজফফর আহমেদ ভবন সূত্রে খবর, সিপিআইএমের কমিটিতে থাকার নয়া নিয়মের গেরোয় সিপিআইএমের রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন এই প্রবীণ নেতা। বাদ পড়েছেন পলিটব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় কমিটি থেকেও। কিন্তু এই বয়সেও বিমানবাবু বেশ সক্রিয়। তবে কেরলের পিনারাই বিজয়নের মতো ‘ব্যতিক্রমী’ হতে চাননি বিমান বসু। বরং বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সে কথা শোনা হয়নি।
আর কিসে আছেন বিমান বসু? দলীয় সূত্রে খবর, বয়সের গেরোয় বাদ পড়া হান্নান মোল্লা, এস আর পিল্লাইয়ের সঙ্গে বিমানবাবুকেও কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য করে রাখা হয়েছে এবার। কারণ দলে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাই বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান পদে তাঁকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শরিকদলগুলি থেকেও এই অনুরোধ করা হয়েছিল।
কী মনে করছেন বিমান বসু? এই বিষয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমে কিছু বলেননি। তবে সিপিআইএমের এক শীর্ষ নেতারা জানান, বিমানবাবু শরিকদের এবং আমাদের অভিভাবকের মতো। তাঁর রাজনৈতিক বিচক্ষণতা আজ তাঁকে সবার প্রিয় করে তুলেছে। এই বয়সে নানা কর্মসূচিতে যাচ্ছেন। জেলাতেও জনসভা ও মিছিল করছেন। শরিক দলগুলিকে উপযুক্ত পরামর্শ দিচ্ছেন। সবাইকে নিয়ে চলছেন। তাই তাঁকে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান হিসাবে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।