হাতে আর ১৫ মাস বাকি। তারপরই বাংলায় ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। আর ওই নির্বাচনের আগে বাংলায় একটা দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। তার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদনও করা হয়েছে। বাংলার রাজনীতিতে এই নয়া সমীকরণ দেখা যাবে। এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এটা তিনি নিশ্চিতভাবে জানেন বলে এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দাবি করেছেন। এই তথ্য ছড়িয়ে পড়ার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ওই নতুন দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দলে কারা থাকবেন? কেন তা গড়ে তোলা হচ্ছে? ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে?
এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন সিপিএমের এই পলিটব্যুরো সদস্য। আর এই নতুন রাজনৈতিক দল যে একটা বিশেষ কারণে তৈরি হচ্ছে সেটাও জানান তিনি। এই বিষয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘গত দু–তিন মাস ধরে মিডিয়াকে দিয়ে মানুষকে জানানো হচ্ছে, আর একটা নতুন বামপন্থী দল তৈরি করতে হবে। আর সেটা আসবে। এমনকী ঘোষণাও হয়ে গিয়েছিল। দেখা গেল কিছুই হল না। অনেকেই বলছিল, বিজেপির উত্থান হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস একটা দক্ষিণপন্থী দল। তাদের মধ্যেই একটা সাজানো বিরোধী এবং সরকারি দল আছে। এবার দল তৈরি করতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন জমা পড়েছে।’
আরও পড়ুন: গুজরাটে ধরা পড়ল বৃহৎ ‘মেডিক্যাল সিন্ডিকেট’, ৭০ হাজার টাকা দিলেই মিলত ভুয়ো ডিগ্রি
এই নতুন দক্ষিণপন্থী দলে অনেক পরিচিত মুখ থাকবে বলে দাবি করেছেন মহম্মদ সেলিম। যারা তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি থেকে আসবে। এই বিষয়ে মহম্মদ সেলিম দাবি করেন, ‘আমি পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, আর একটা দক্ষিণপন্থী দল তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। যারা নিজের নিজের দলে পাত্তা পাচ্ছে না, সেটা তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি। সেসবের পাত্তারি গোটালে কী হবে, তার একটা বিকল্প ভেবে রাখা হচ্ছে। আবার যাতে পাত্তা পাওয়া যায়, তার জন্য ব্ল্যাকমেইল করা যায় কিনা, সে চেষ্টাও করছে।’ অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি থেকে অনেক নেতা বেরিয়ে যাবেন। বিশেষ করে যাঁরা টিকিট পাবেন না। তাঁদের নিয়েই ওই দক্ষিণপন্থী দল গড়ে উঠবে। এমন ইঙ্গিতই দিয়ে রাখলেন সেলিম।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও এমন ঘটনা দেখা গিয়েছিল। তবে নতুন দল তৈরি হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন নেতারা। আবার ফলপ্রকাশ হওয়ার পর ফিরেও আসেন অনেকে। তবে ২০২৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসই আবার ক্ষমতায় আসবে বলে সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়েছিল। সেই দলে ছিলেন শাসকদলের বহু নেতা, মন্ত্রীও। ছাব্বিশে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও অনেকেরই দমবন্ধ হবে। আবার পরে দেখা গিয়েছিল বিজেপিতে অনেকের দমবন্ধ হল। তারা তৃণমূলে চলে এল। এবার নতুন দল দানা বাঁধবে।’