বাম – কংগ্রেসের ডাকা ধর্মঘটের ইস্যুকে সমর্থন জানালেও ধর্মঘটকে সমর্থন করেননি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমর্থন তো করেননই উলটে ধর্মঘটে অফিসে না এলে কর্মজীবনে ছেদ পড়বে বলে হুলিয়া জারি করেছে তাঁর সরকার। মমতার এই দ্বিচারিতার বিরোধিতা করে বুধবার বিকেলে তোপ দাগলেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। বললেন, ‘ভাইপোকে বাঁচাতে বিজেপির দালালি করছেন মমতা।’ এদিন একই ভাবে মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগা হয় শ্রমিক ভবন থেকে। বলা হয়, ‘মোদীর হাত না ধরলে মমতার গোটা পরিবার ও দল জেলে থাকবে।’
বুধবার সেলিম বলেন, ‘দেশ জুড়ে মোদী – শাহ যা করছেন, এরাজ্যে ঠিক তাই করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাইপোকে বাঁচাতে মোদীর দালালি করছেন তিনি। তাই বনধ নিয়ে দিলীপ ঘোষ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সুর।’
বনধে হিংসার জন্যও এদিন সরকারকেই দায়ী করেন সেলিম। বলেন, ‘কিছু মমতা প্ররোচনা দিয়েছে বলে হিংসা হয়েছে। মমতার প্ররোচনায় পুলিশ ও তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী কিছু জায়গায় ধর্মঘটিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তবে সব জায়গায় তা পারেনি।’
সেলিমের দাবি, ‘গোটা দেশের মানুষ যখন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে তখন ভাইপোকে আর রাজীব কুমারকে বাঁচাতে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করতে গেছিলেন মমতা।’ তিনি বলেন, ‘এনআরসি নিয়ে গোটা দেশে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছেন মোদী ও শাহ। সেই ভয় ধীরে ধীরে কাটছে। মানুষ রাস্তায় নামছে। এমনকী বহু তৃণমূল কর্মী আজকের বনধকে সমর্থন জানিয়ে নেত্রীর নির্দেশ অমান্য করে বেরোননি।’