গতকাল কালীঘাটে দীর্ঘ বৈঠক হয় জুনিয়র চিকিৎসক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই বৈঠকের পরই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, চিকিৎসকদের অধিকাংশ দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এরই সঙ্গে অবশ্য তিনি 'অপারিত' কর্তাদের নিয়ে নিজের 'নমনীয় মনোভাব' ব্যক্ত করেন। আর তার প্রেক্ষিতেই সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বাম নেতার কথায়, মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি অভিযুক্তদের পাশে। এছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী পদ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগেরও দাবি তুলেছেন সুজন চক্রবর্তী। (আরও পড়ুন: 'সমঝোতা হয়েছে', মমতা-ডাক্তারদের বৈঠক নিয়ে গভীর রাতে বড় দাবি ঘিরে তোলপাড়)
আরও পড়ুন: 'আরজি করে খুনের মামলায় ধামাচাপা দেওয়ার কথা মেনেছেন মমতা',সামনে বিস্ফোরক মন্তব্য
কালীঘাটে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাবাদিকদের মুখোমুখি হন। আর সেখানেই একাধিক ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এই নিয়ে পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সুজন চক্রবর্তী পোস্ট করে লেখেন, 'বিনীত যেখানে কাজ করতে চেয়েছেন, সেখানে পাঠানো হবে... স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে অসম্মান করতে পারি না... মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টতই অভিযুক্তদের পাশে। আন্দোলনের চাপে মাথা নীচু করতে বাধ্য হয়েছেন। এ জয় মানুষের। চিকিৎসকদের। আন্দোলনের। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য-পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগকেও নিশ্চিত করতে হবে।'
আরও পড়ুন: আরজি করে চিকিৎসক খুন কাণ্ডে নয়া মোড়, 'আমি খুশি', পোস্ট 'বিদ্রোহী' তৃণমূল সাংসদ
উল্লেখ্য, সোমবার রাত প্রায় ১২ টায় কালীঘাটে নিজের বাসভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরিয়ে দেওয়ার যে দাবি জুনিয়র ডাক্তাররা করেছেন, তা মেনে নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেল চারটে পর্যন্ত কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদে থাকবেন বিনীত। তারপর নয়া পুলিশ কমিশনারকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেবেন বিনীত গোয়েল। এদিকে শুধু বিনীত নন, জুনিয়র ডাক্তাররা যাঁদের যাঁদের সরানোর দাবি তুলেছিলেন, তাঁদের প্রায় সকলকে সরিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য অধিকর্তা দেবাশিস হালদার এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরানো হয়েছে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (নর্থ) অভিষেক গুপ্তাকেও। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে নিজের পদে রেখেছেন। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কোনও মন্তব্য করেননি। আর মমতার সেই সাংবাদিক বৈঠকের পরই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে সরব হয়েছেন সুজন চক্রবর্তী।