‘‌পাহারায় পাবলিক’‌, শাসকদলের দুর্নীতির পর্দাফাঁস করতে নয়া কর্মসূচি সিপিআইএমের

রাজ্যজুড়ে কোন কোন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তোলাবাজি, কাটমানি–সহ নানা দুর্নীতিতে যুক্ত, তা খুঁজে বের করা হবে। আর তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হবে। একেবারে পঞ্চায়েত স্তর থেকে রাজ্যস্তরের নেতা–মন্ত্রীদের সব দুর্নীতি সামনে নিয়ে আসা হবে।

নয়া কর্মসূচি নিতে চলেছে সিপিএমের নেতারা।

রাজ্যজুড়ে এখন নানা ঘটনা থেকে দুর্নীতির খবর সামনে আসছে। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চাইছে সিপিআইএম। শাসকদলের নেতা–মন্ত্রীদের কেচ্ছা এবার সামনে আনতে চায় সিপিআইএম নেতারা। পর্দাফাঁস করতে এবার নয়া কর্মসূচি নিতে চলেছে লালপার্টির নেতারা। এই কর্মসূচির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘‌পাহারায় পাবলিক’‌।

বিষয়টি ঠিক কী হবে?‌ আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে কোন কোন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তোলাবাজি, কাটমানি–সহ নানা দুর্নীতিতে যুক্ত, তা খুঁজে বের করা হবে। আর তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হবে। একেবারে পঞ্চায়েত স্তর থেকে রাজ্যস্তরের নেতা–মন্ত্রীদের সব দুর্নীতি সামনে নিয়ে আসা হবে। তার জন্য কাজ করবে দলের যুবফ্রন্ট। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহেও নেমেছে সিপিআইএম। আর সেসব নিয়েই প্রকাশ করা হয়েছে ‘পাহারায় পাবলিক’–এর প্রথম ভাগ।

কোন কোন বিষয় সামনে আনা হচ্ছে?‌ দলীয় সূত্রে খবর, এখন রাজ্যে সবচেয়ে বড় ইস্যু শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি। তারপর সিবিআই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–মন্ত্রীদের ডাকছে। গরু পাচার থেকে কয়লা পাচার। রামপুরহাটে বগটুইতে নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এমনকী কাদের বিশাল বাড়ি থেকে বিপুল সম্পত্তি হয়েছে সবই সামনে আনতে চলেছে সিপিআইএম।

কেন কর্মসূচির নাম পাহারায় পাবলিক? আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, ছাত্র–যুব ফ্রন্ট মানুষকে সঙ্গে নিয়েই এই রাজ করবে। আর মানুষকে এই কাজে যুক্ত করা হবে। এমনকী একের পর ঘটনা ফাঁস করে তা মানুষকে জানানো হবে। তাই গোটা কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে পাহারায় পাবলিক। এমনকী এই কর্মসূচির মাধ্যমে জনসংযোগও ঘটবে বলে মনে করছেন সিপিআইএম শীর্ষ নেতৃত্ব।‌