পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিআইএম নিয়ে আসতে চলেছে— ‘পাড়ার মেয়েই প্রার্থী’। লোকসভা নির্বাচনেও এই প্রচারকে সামনে রেখেই এগিয়ে যেতে চায় তারা। আরও বেশি করে মহিলা মুখকেই সামনে নিয়ে আসতেই আলিমুদ্দিন এই পথ বেছে নিয়েছে। সাধারণ পরিবারের মহিলা মুখকে পার্টিতে নিয়ে আসতে হবে বলে পার্টির চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার একদিকে আদর্শ অন্যদিকে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা। দুইয়ের মিশেল নিয়েই মানুষের দরবারে হাজির হবে সিপিআইএম বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর সেই নির্দেশ দেওয়া হল পার্টি কমরেডদের।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বড় বড় তত্ত্বকথা এখন কেউ শুনতে চায় না। তাই সেসব না আউড়ে মানুষের দৈনন্দিন সমস্যা নিয়ে আরও বেশি করে মনোনিবেশ করাই হবে দলের কাজ। মঙ্গলবার দলের অনুষ্ঠানে কলকাতায় একমঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তিন পলিটব্যুরো সদস্য প্রকাশ কারাত, মহম্মদ সেলিম এবং সূর্যকান্ত মিশ্র। সেখানেই সিপিআইএম নেতৃত্বের মুখে বারবার এই কথা উঠে এসেছে। আগেই পার্টির চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, দলে যুক্ত করার ক্ষেত্রে শ্রেণি বিন্যাসের সঙ্গে সামাজিক বিন্যাসের উপর গুরুত্ব দিতে। মহিলাদের বেশি করে নিয়ে আসার বিষয়টি নজর রাখতেও উল্লেখ করা হয় পার্টির চিঠিতে।
আর কী জানা যাচ্ছে? বিকল্প কর্মসূচি হিসেবে সিপিআইএম নেতাদের ঘোষণা, জাতীয় বা রাজ্য নেতাদের দিকে তাকিয়ে না থেকে স্থানীয় স্তরে গণআন্দোলন আরও বাড়াতে হবে। বড় বড় তত্ত্বকথা না আউড়ে মানুষের দৈনন্দিন সমস্যায় আরও বেশি করে মনোনিবেশ করতে হবে। এটাই দলের কাজ। এদিনের অনুষ্ঠানে ‘দক্ষিণপন্থার বিপদ ও তার প্রতিরোধ’ শীর্ষক বিষয়ে কথা বলেন প্রকাশ। ইতালি, ব্রাজিল, টার্কির উদাহরণ দিয়ে ভারতেও অতি দক্ষিণপন্থার বিকাশ ও তা দূর করার উপায় বাতলে দেন তিনি। বিমান বসু বলেন, ‘দেশ এবং রাজ্যকে চরম দক্ষিণপন্থা থেকে মুক্ত করা এখন একমাত্র লক্ষ্য ধরা হয়েছে।’
ঠিক কী বলেছেন প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক? সিপিআইএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত বলেন, ‘বিজেপিকে কেউ হালকাভাবে নেবেন না। সংঘ পরিবার হিন্দু জাতীয়তাবাদের যে আদর্শ দেশের সামনে রাখছে তাতে ভোটবাক্স প্রভাবিত হচ্ছে। এদের মোকাবিলায় আদর্শ অক্ষুণ্ণ রেখে আরও নিবিড়ভাবে জনসংযোগে করতে হবে।’ পার্টির রাজ্য সম্পাদক সেলিম বলেন, ‘শাসক হিসেবে আমরা সব পেরেছি বলব না। বাংলার মানুষের প্রত্যাশা পূরণে এখন আমরা রোজকার ছোট ছোট সমস্যায় আরও বেশি করে মন দেব। বেশি করে গণআন্দোলন হবে।’