অজন্তাকাণ্ডে এবার কড়া অবস্থান নিতে চাইছে সিপিএম। সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হতে পারে প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের কন্যা তথা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপিকা অজন্তা বিশ্বাসকে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে অজন্তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না নিলে দলের বিভিন্ন স্তরে অন্যরকম বার্তা চলে যেতে পারে। অনিল বিশ্বাসের কন্যা বলেই তাঁকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে এই ধরনের বার্তা যাতে কোনওভাবেই না যায় সেকারণেই অত্যন্ত সতর্কভাবে পা ফেলেছে সিপিএম। তবে এর সঙ্গেই সিপিএমের অন্দরে বড় সংশয় দানা বেঁধেছে, পুরো ঘটনাটাই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে করা হয়নি তো।
কিন্তু কেন সিপিএম নেতৃত্বের রোষে পড়লেন অনিল কন্যা? আসলে সম্প্রতি সিপিএমের মুখপাত্র জাগো বাংলায় লিখেছিলেন অজন্তা বিশ্বাস। সেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঢালাও প্রশংসা করেছেন তিনি। এদিকে খোদ অনিল কন্যার কলমে ওই প্রশংসা দেখে ব্যপক অস্বস্তিতে পড়েন সিপিএম নেতৃত্ব। তবে তাঁদের এখন কার্যত উভয় সংকটে পড়া অবস্থা। দলের সদস্যা অজন্তা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে দলের অন্দরে নানা প্রশ্ন উঠতে পারে। অন্য়দিকে খোদ অনিল বিশ্বাসের কন্য়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কিছুটা হলেও দ্বিধায় পড়েছেন সিপিএমের একাংশ। তবে ইতিমধ্যে সিপিএম নেতা বিমান বসু অজন্তা বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু তাঁর ব্যাখ্যায় সিপিএম নেতৃত্ব একেবারেই খুশি নন।
প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘অজন্তা পার্টি মেম্বার কিনা তা জানি না। কমিউনিষ্ট পার্টিতে শৃঙ্খলা রয়েছে। দলে থাকলে তাঁকেও মানতে হবে।’ তবে তৃণমূল ইতিমধ্যেই অজন্তার পাশে দাঁড়িয়েছে। সোমবার তাদের মুখপত্রে এনিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্য রাজনীতি নিয়ে লিখতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ আসাটাই স্বাভাবিক। আর সেটাই উঠে এসেছে অজন্তার কলমে।’