দু’দিন আগেই পাঁচ শিক্ষিকা বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। এই প্রেক্ষাপটে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া ভাষায় সরব হয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁদের বিজেপির ক্যাডার বলার পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, যাঁরা এই ধরনের আন্দোলন করছেন তাঁদের অবস্থা বাম আমলের তুলনায় অনেক ভালো। এবার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন সিপিআইএমের আইনজীবী সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘ব্রাত্য বসু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোষা ক্যাডার।’
এই মন্তব্য করার পর ফের সংঘাত শুরু হয়ে গেল সিপিআইএম–তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে। আজ বিকাশরঞ্জন সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘পাঁচজন শিক্ষিকার আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্রীমান ব্রাত্য বসুর মন্তব্য পড়ে নিশ্চিত হলাম তিনি দুর্নীতিগ্রস্থ মমতার পোষা ক্যাডার, সাংবিধানিক পদাধিকারী নন| আত্মহননকারী শিক্ষিকরা কোন দলের ক্যাডার তা আমি জানি না| তবে এটা নিশ্চিত জানি তাঁরা শিক্ষকদের দাবি প্রতিষ্ঠার লড়াই করছেন| ব্রাত্যবাবু বললেন, মমতার আমলে শিক্ষকদের ভাতা বাড়িয়েছেন| বাম আমলের তুলনায় মন্ত্রীদের সামগ্রিক আয় যে অনুপাতে বাড়ল ঠিক সেই অনুপাতে কি রাজ্যের শিক্ষক–সহ অন্যান্যদের বেতন বা ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছে? ব্রাত্যবাবুর চাকুরি টিকবে না যদি তিনি তাঁর বিবেক অনুযায়ী কাজ করেন| অবশ্য যদি তাঁর বিবেক বোধ বলে কিছু থেকে থাকে|’
ইতিমধ্যেই ওই শিক্ষিকারদের কয়েকজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তারপরই তাঁরা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁরা শেষ দেখে ছাড়বেন। আর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আদালতেই দেখা করবেন। সুতরাং এই ইস্যুতে তাঁরা চরম পদক্ষেপ করতে চলেছেন। বিজেপিও এই ইস্যুকে সামনে রেখে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে। সেখানে সিপিআইএম সাংসদের এই মন্তব্য বাড়তি অক্সিজেন দেবে তাঁদের বলে মনে করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজের ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে এসএসকে এবং এমএসকে’র সহায়ক/সহায়িকা, সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকারা নামমাত্র সাম্মানিকের বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিশ্চয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগ–সুবিধা বলে কিছু ছিলো না।’ এই নিয়ে এখন ব্রাত্য–বিকাশ তরজা জমে উঠেছে রাজনীতির আঙিনায় বলে মনে করা হচ্ছে।