একুশের নির্বাচনে কেন শূন্য পেতে হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বসেছিল সিপিআইএম। এখানে আসল কারণ খুঁজতে গিয়ে পরস্পরের দোষারোপের পালায় মেতে উঠল আলিমুদ্দিনের কর্তারা। বিপর্যয়ের দায়ভার শীর্ষ নেতৃত্বের কাঁধেই ন্যস্ত করা হল। আর সরকারের জনমুখী প্রকল্পের বিরোধিতা পার্টির বিরুদ্ধে গিয়েছে বলেই এখন তাঁরা মনে করছেন। এই পরিস্থিতিতে অন্যপথের সন্ধান করতে হবে বলে মনে করছে নেতৃত্ব। আর সে পথ বিজেপি বিরোধিতা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
একুশের নির্বাচনের পর এটাই প্রথম রাজ্য কমিটির বৈঠক। ভার্চুয়াল হলেও তা কার্যত বাজারে পরিণত হলো। শীর্ষ নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। নিচুতলায় আলোচনা না করে কেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোটের সিদ্ধান্ত তা নিয়ে জেলার নেতারা সোচ্চার হন। জেলা নেতৃত্ব আক্রমণের মুখে পড়েন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিমরা। তবে এর পরেও আগ বাড়িয়ে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা কংগ্রেসের সঙ্গে আলিমুদ্দিন জোট ভাঙতে যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাতে এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলার নেতারা।
তবে অতিরিক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধিতা করার নীতিতেই এই পতন বলে কম–বেশি সব কমিউনিস্ট নেতারা মেনে নিয়েছেন। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর প্রকাশ্যে পার্টি বিরোধী কথা বলেছিলেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে তন্ময় ভট্টাচার্যকে তিন মাসের জন্য মুখ বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আলিমুদ্দিন। বাকিদের ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।