পার্টির পর পর ভরাডুবি হয়েছে। সেটা তিনি রাজ্য সম্পাদক থাকাকালীনই। এই নিয়ে দলের অন্দরে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। আবার চিঠি পাঠিয়ে অনেকে তাঁর সরে যাওয়া উচিত বলে উল্লেখ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরোর সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র এবার দলের কোনও পদে থাকতে চাইছেন না বলে সূত্রের খবর। এমনকী তিনি এই কথা সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি–সহ পলিটব্যুরোর একাধিক সদস্যকে জানিয়েও দিয়েছেন। তবে এখন এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি আগামী বছর এপ্রিল মাসের পার্টি কংগ্রেসে আলোচনা করা হবে বলে খবর।
সূর্যকান্ত মিশ্রের এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সিপিআইএমের এবার নয়া নিয়মে বিমানবাবুর মতো বর্ষীয়ান নেতার কোনও কমিটিতেই থাকার কথা নয়। তবে তিনি সক্রিয় থাকলেও পদ আঁকড়ে থাকতে চান না বলে আগেই জানিয়েছেন। কিন্তু সূর্যকান্ত মিশ্রের তো তা নয়। তাহলে তিনি কেন দলের সব পদ থেকে সরে যেতে চাইছেন? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিপিআইএমের জেলার নেতা বলেন, ‘আসলে নেতৃত্বে থেকে একের পর এক ভরাডুবি তিনি মেনে নিতে পারছেন না। তাছাড়া দলের অনেকেই এই দায় নিতে সরে যাওয়ার পক্ষে মন্তব্য করেছেন। তাই এই প্রস্তাব।’
উল্লেখ্য, সিপিআইএম নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী সম্মেলনে বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ বয়সের সীমা মেনেই নতুন কমিটি গঠন করা হবে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য কমিটিতে সেই বয়সসীমা ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৭৫ এবং ৭২ বছর। তবে বিমান বসু–সূর্যকান্ত মিশ্ররা একসঙ্গে সরে গেলে তাঁদের দেখাদেখি অনেক প্রবীণ নেতা একই পথে হাঁটতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
দলীয় সূত্রে খবর, বিমানবাবু এই নয়া নিয়মের আওতায় পড়ছেন। কিন্তু ৭২ ছুঁইছুঁই রাজ্য সম্পাদকের ক্ষেত্রে এবার তা পুরোপুরি প্রযোজ্য হতো না। কারণ বয়সসীমার সিদ্ধান্তে রাজ্যের পদে না থাকতে পারলেও কেন্দ্রীয় কমিটিতে তাঁর ঠাঁই পাকাই ছিল। কিন্তু তিনি আর কেন্দ্রীয় কমিটি বা পলিটব্যুরোয় থাকতে চান না বলে জানিয়েছেন। এমনকী স্বেচ্ছায় তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি তিনি খোলসা করেননি।