বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে আরও সংকুচিত হল সিপিএমের সংগঠন। এক বছরে সদস্য সংখ্যা কমল প্রায় ৭,৫০০। সঙ্গে ছাত্রযুবদের যোগদানের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল তার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি দল। এজন্য দলীয় নেতৃত্বের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিমান বসুরা।
সম্প্রতি পার্টির এটি চিঠি সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে। তাতে গত ১ বছরে দলের সদস্যসংখ্যা কমায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে ২০১৯ সালে দলের সদস্য সংখ্যা ছিল ১,৬৮,০৪২ জন। চলতি বছর তা কমে হয়েছে ১,৬০,৪৮৫ জন। অর্থাৎ দলের সদস্যপদ ছেড়েছেন ৭,৫৫৭ জন।
এছাড়া দলের মোট সদস্যের ২০ শতাংশ ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে বলে যে সিদ্ধান্ত দলের গৃহীত হয়েছিল তাও বাস্তবায়িত করতে পারেনি সিপিএম। দলে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব মাত্র ৭.৬৮ শতাংশ।
মহিলাদের সদস্য করার ক্ষেত্রেও লক্ষ্যমাত্রা থেকে দল অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। বলা হয়েছে, দলে ২৫ শতাংশ মহিলা সদস্য করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল। সেখানে মোট সদস্যের মাত্র ১০.৯৬ শতাংশ মহিলা সদস্য সংগ্রহ করতে পেরেছে তারা।
দলের এই হালের জন্য নেতৃত্বের ব্যর্থতাকে দায়ী করা হয়েছে চিঠিতে। কেন বিপুল সংখ্যায় ছাত্রযুবরা দলের কর্মসূচিতে যোগ দিলেও তাদের সদস্য করা যায়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সঙ্গে প্রবীণ সদস্যদের একাংশ নিষ্ক্রিয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাদের সদস্যপদ পুনর্বিবেচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।