বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই সব রাজনৈতিক দলই নিজস্ব স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এখন থেকেোই পথে নেমে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে একুশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের মতো স্ট্র্যাটেজি নিতে চলেছে সিপিআইএম। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রচার করেছিল—‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’। আর সিপিআইএম সেই ধাঁচেই নিয়ে আসতে চলেছে— ‘পাড়ার মেয়েই প্রার্থী’। লোকসভা নির্বাচনেও এভাবেই এগিয়ে যেতে চায় তারা। আরও বেশি করে মহিলা মুখকেই সামনে নিয়ে আসতেই আলিমুদ্দিন এই পথ বেছে নিয়েছে। সাধারণ পরিবারের মহিলা মুখকে পার্টিতে নিয়ে আসতে হবে বলে পার্টি চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পার্টির চিঠিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দলে যুক্ত করার ক্ষেত্রে শ্রেণি বিন্যাসের সঙ্গে সামাজিক বিন্যাসের উপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। মহিলাদের বেশি করে নিয়ে আসার বিষয়টি নজর রাখতেই হবে। এই কাজ ঠিক করে হচ্ছে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে পার্টির চিঠিতে। একুশের নির্বাচনে সিপিআইএমের প্রাপ্তি শূন্য। দলের ছাত্র, যুব,মহিলা—সহ সব সংগঠনের অবস্থাও খারাপ। সেখানে বিরোধী দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে বিজেপি। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে মহিলাদের প্রার্থী করতে হবে বলে মনে করছেন বাম নেতারা।
আবার এখন দলের ছাত্র, যুব সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চাইছে আলিমুদ্দিনের নেতারা। যদিও এখন ছাত্র, যুবদের সভা—সমাবেশ নজর কাড়ছে। আবার জেলায় পার্টির জাঠাতেও মানুষের সাড়া মিলছে বলে দাবি করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। কিন্তু পার্টি নেতৃত্বের দাবি, মহিলা মুখ বেশি করে পার্টিতে এলে হারানো জমি ফিরবে। বিজেপিকে টক্কর দেওয়া যাবে। তাই গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতিকে এগিয়ে আসতে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামে মহিলাদের সংগঠিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বুথের কমিটিতে মহিলাদের বেশি করে রাখতে হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বড় সংখ্যক আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তাই ‘পাড়ার মেয়েই প্রার্থী’ করতে চাইছে সিপিআইএম। একইসঙ্গে পার্টির স্ট্যাম্প গায়ে রয়েছে এমন মহিলাদের প্রার্থী করতে চাইছে না লাল পার্টি। একেবারে সাধারণ পরিবারের মহিলাদের প্রার্থী করতে চাইছে তারা।