তৃণমূলের মুখপাত্র ‘জাগো বাংলা’য় হয়ে তাঁর কলম লেখার পর থেকেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। শনিবার সেই প্রবন্ধের শেষ কিস্তি প্রকাশের পর গণশক্তির প্রাক্তন সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাসকে শো-কজের সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম। দলের অনুমতি ছাড়া বিরোধী মতাদর্শের মুখপত্রের হয়ে কেন তিনি লিখতে গেলেন তার ব্যাখ্যা চাইবে দল।
শনিবার তৃণমূলের মুখপাত্র জাগো বাংলায় প্রকাশিত হয়েছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপিকা তথা সিপিআইএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাসের কলামের শেষ কিস্তি। তৃতীয় কিস্তি জুড়ে ছিলেন শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ইতিহাসের সেরা বাঙালি মহিলা রাজনীতিবিদ’ বলে উল্লেখ করার পাশাপাশি কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো নারীকেন্দ্রিক প্রকল্পগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। এর পরই তাঁকে শো-কজের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সিপিআইএম রাজ্য কমিটি সূত্রের খবর।
আলিমুদ্দিন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য কমিটি দলের সাংগঠনিক কমিটিকে অজন্তার এহেন সিদ্ধান্তের কারণ জানতে নির্দেশ দিয়েছে। জবাব না মিললে বা জবাব সন্তোষজনক না হলে দলের সংবিধান মেনে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা।
সিপিআইএমের কলকাতার এক নেতা জানিয়েছেন, যে ভাবে কাউকে না জানিয়ে অজন্তা তৃণমূলের মুখপত্রের হয়ে কলম ধরেছেন তাতে দলের নীচুতলায় ক্ষোভ বাড়ছিল। আর এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় ভরানো তাঁর কিস্তিতে সেই ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। অজন্তাকে শো-কজের সিদ্ধান্ত না নিলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারতেন অনেকে। তাই এব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিল দল।
দলের তরফে জানা গিয়েছে, আলিমুদ্দিনের অনেক নেতারই ব্যক্তিগতভাবে স্নেহধন্য অজন্তা। তাঁর এমন সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে তাঁরাও। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যাপারটা হেস্তনেস্ত করতে চাইছেন তাঁরা।