তন্ময় চট্টোপাধ্যায়
সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে সামনে এসেছে নন্দকুমার মডেল। রাম-বাম তলায় তলায় জোট। তবে কি পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে পরাস্ত করতে বাম ও বিজেপির মধ্যে জোট হবে? এবার এনিয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে বিরাট জবাব দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সিপিএমের দুদিন ব্যপী রাজ্য কমিটির মিটিং শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। মহম্মদ সেলিম জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও কর্মী বা সিপিআইএম নেতা বিজেপির সঙ্গে কোনও নির্বাচনী বোঝাপড়া করলে তা দল মেনে নেবে না।
নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত কেউ এই ধরনের বোঝাপড়া করলে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পার্টির সিদ্ধান্ত না মানলে বরখাস্ত করা হবে। কেবলমাত্র ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি যেমন কংগ্রেস বা আইএসএফের সঙ্গে জোট হতে পারে।
সেলিম জানিয়ে দিয়েছেন, শুধু পঞ্চায়েত নয়, সর্বস্তরে এই নিয়ম লাগু করা হবে।
এদিকে সূত্রের খবর, জেলা কমিটির কিছু রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলস্তরে ঘাসফুলকে পরাস্ত করতে বিজেপির সঙ্গে তলায় তলায় জোটের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটি এনিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল সম্প্রতি সমবায় নির্বাচনে একটি অলিখিত জোট হয়ে গিয়েছিল। নদিয়া কমিটিও এনিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছে।
সেলিম জানিয়েছেন, এটা বাস্তবিকই যে ২০১৯ সালে আমাদের সমর্থকদের অনেকেই বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। তাঁরা ভেবেছিলেন তৃণমূলকে হঠাতে বিজেপি হয়তো বেশি শক্তিশালী। তবে এখন তারা ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার তৃণমূলের যে কর্মীরা বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন তারাও ফিরে আসছেন।
সেলিম জানিয়েছেন, সংগঠনের দুর্বলতাকে ঢাকতে এখন প্রকাশ্যেই শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতারা বলছেন সিপিএম নেতা কর্মীরা তৃণমূলকে পরাস্ত করতে আমাদের সঙ্গে আসুন। আসলে ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে এসব করছে বিজেপি।
এনিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের কোণঠাসা করতে সিপিএমকে সহায়তা করছে তৃণমূল। তবে আমরা লড়াইটা নিজেরাই লড়তে পারব।