আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছেন। বিচারের দাবি তুলেছেন। স্লোগান উঠেছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে সেই বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। তার মধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলা করার ষড়যন্ত্রের ছক কষার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন কলতান দাশগুপ্ত এবং সঞ্জীব দাস। আজ, শনিবার আদালত তাঁদের সাতদিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। অডিয়ো ক্লিপ যেটা ভাইরাল হয়েছে সেখানে এই দু’জনের কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। যা যাচাই করেছে কলকাতা পুলিশ। এবার তার সত্যতা সামনে নিয়ে এলেন এসএফআই নেত্রী দীপ্সিতা ধর।
আজ, শনিবার জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী নিজে উপস্থিত হওয়ায় স্বাগত জানান তাঁরা। আর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নয়, দিদি হিসাবে এসেছেন বলার পর রফাসূত্র বের হবে বলে অনেকে মনে করেন। আজ সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে বৈঠকে যোগ দিতে আসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু তা ভেস্তে যায়। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ধরেই নিলেন সেই কথোপকথন প্রায় সত্যি। তা নিয়ে এখন জোর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে সিপিএমের অন্দরে। যেখানে দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এটা মানতে নারাজ এবং কলতানরা ষড়যন্ত্রের স্বীকার বলে দাবি করছেন সেখানে দীপ্সিতার পোস্ট বিতর্ক তুঙ্গে তুলেছে।
আরও পড়ুন: প্রায় লক্ষাধিক টাকা অটোয় ফেলে নেমে যান যাত্রী, মানবিকতার পরিচয় দিলেন অটোচালক
এই ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ দীপ্সিতা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে লেখেন, ‘ধরা যাক কলতান দার কথোপকথন সত্যি। তার মানে দু’জনের কেউ একজন রেকর্ড করেছে পুরো বার্তালাপ। আর সেই এটি চোর কুণালকে পাঠিয়েছেন। দীপ্সিতা কেন ধরে নিলেন এই অডিয়ো কলতানের? এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, ‘মীনাক্ষী বা দীপ্সিতা কেউই বলেননি এই অডিয়ো কলতানের নয়। তাহলে যেটা বোঝার সেটা বুঝে নিন।’
পাঁচ দফা দাবিতে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আন্দোলন করে চলেছে জুনিয়র ডাক্তাররা। ওই দাবিগুলি নিয়ে আজ শনিবার রাতে সকলকে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। তবে তার আগেই সেখানে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই খবর আসে গ্রেফতার হয়েছেন কলতান দাশগুপ্ত। এই পরিস্থিতিতে দীপ্সিতা ধর লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী না দিদি, এই মানবিক মুখোশের আড়ালে আসলে দাঁত নখ বের করা স্বৈরাচারীর মুখটা ধরা পড়ছে। যারা ক্রমাগত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে প্রতিবাদের টুটি চেপে ধরছেন। খ্যাপা কুকুরের মতো হয়ে উঠেছেন।’ তবে কাকে খ্যাপা কুকুর বলে সম্বোধন করলেন সেটা স্পষ্ট করেননি।