সিপিএমের এখন রাজ্য সম্মেলন চলছে। নানা জেলায় সিপিএম নেতা–নেত্রীরা চর্চা করছেন আগামী দিনে কেমন করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আর তখনই সিপিএম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবং আরও ১৫ জন সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের করল পুলিশ। সুতরাং চাপ বাড়ল সিপিএম নেত্রীর উপর। এই ঘটনায় এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আগামী দিনে বড় কোনও কর্মসূচি নিলে তা ভেবে করতে হবে। কারণ এই এফআইআর অনুযায়ী এখন কাজ শুরু হবে। তাতে জামিন পাওয়া মুশকিল।
জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের হওয়ায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় গ্রেফতারও হতে পারেন। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকারি দফতরের বাইরে লাগাতার বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে। সেগুলি আবার জামিন অযোগ্য। তবে মামলা করে যে তাঁদের কণ্ঠ থামানো যাবে না সেই বার্তা আজ, শুক্রবার দিয়েছেন আন্দোলনকারী সিপিএম কর্মীরা। স্যালাইন কাণ্ডে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। তার জেরে মেদিনীপুর হাসপাতালের সামনে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। কয়েকদিন ধরে তা চলে। তাঁরা বিক্ষোভ দেখান জেলাশাসকের দফতরেও। তারপরই ১৬ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: বৃদ্ধার নলিকাটা দেহ উদ্ধার কাঁচরাপাড়ায়, রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর, খুনের নেপথ্য কারণ কী?
এই জেলাশাসকের দফতরের সামনে যে বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছিল তাতে সেখানে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয় সিপিএম কর্মী–সমর্থকদের। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং পুলিশের গায়ে হাত তোলার জেরেই এই জামিন অযোগ্য ধারা এফআইআর দায়ের করা হযেছে। পুলিশ জামিন অযোগ্য সহ বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এই ঘটনা আজ প্রকাশ্যে আসতেই তেতে উঠেছে সিপিএম। আরও অবস্থান, বিক্ষোভ, সভা–সমাবেশ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সূচি এখনও তৈরি হয়নি।
বিক্ষোভ আন্দোলনের নামে সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া, বেআইনিভাবে জমায়েত করা, সরকারি কর্মীকে আঘাত করার মতো বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ১৮৯(২), ২২১, ১০৯, ১২১(২), ৩২৪(৩), ৩৫১(২), ১৩২ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে খবর। এই বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এভাবে মামলা করে বিক্ষোভ আটকানো যাবে না। এবার ৫ লক্ষ লোক রাস্তায় নামবে।’ সম্প্রতি মেদিনীপুর হাসপাতালে স্যালাইনে গোলমাল থাকায় এক প্রসূতির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও পরে অন্যান্যরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন শহরের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলছে তাঁদের।