নন্দীগ্রামে তাঁর প্রথম পরিচয় ঘটেছিল মানুষের সঙ্গে। তখন চষে বেরিয়েছিলেন তিনি। গ্রামীণ মানুষের সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল। এমনকী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু দুই হেভিওয়েট রাজনীতিবিদের লড়াইয়ের মাঝে পড়ে ভোটবাক্সে সাফল্য তুলে আনতে পারেননি। কিন্তু একুশের নির্বাচনের পরাজয়ের পর হতাশ হননি। বরং লড়াকু মেজাজে তারপরও তাঁকে দেখা গিয়েছিল চর্চিত নন্দীগ্রামে। হ্যাঁ, তিনি সিপিআইএম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
আজ তাঁর নাম আরও একবার চর্চায় উঠে এলো। কারণ তিনি সিপিআইএমের যুব সংগঠনের নতুন রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন। আগামী চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তিনি প্রচার করবেন। তিনি এখন নতুন প্রজন্মকে কাছে টানার প্রচারের মুখ। তাই তাঁর দায়িত্ব বৃদ্ধি করা হল। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় পুজোর পর সব কেন্দ্রে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
এদিকে যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ৫০ বছরের রাজনৈতিক যাত্রাপথে রাজ্য সম্পাদক পদে মহিলা মুখ এই প্রথম। একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তখন মীনাক্ষী যুব সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী পদে ছিলেন। রায়গঞ্জে ডিওয়াইএফআইয়ের ১৯তম রাজ্য সম্মেলন শেষ হয়েছে। সেখানেই পশ্চিম বর্ধমানের মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আর যুব সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পদে আনা হয়েছে মুর্শিদাবাদের ধ্রুবজ্যোতি সাহাকে। যুবদের মুখপত্রের দায়িত্বে রয়েছেন কলতান দাশগুপ্তই। কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন অপূর্ব প্রামাণিক। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর ২৫ জনের মধ্যে নতুন মুখ ১৪ জন। এবার যে রাজ্য কমিটি তৈরি হয়েছে, সেখানেও ৬০ শতাংশের বেশি নতুন মুখ ঢুকেছে।