ভোটের আগে যাদবপুর কেন্দ্রে এক সিপিএম কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, যে সিপিএম কর্মীকে মারধর করা হয়েছে তিনি ক্যানসার আক্রান্ত। এনিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অবরোধের পাশাপাশি থানা ঘেরাও করে সিপিএম। তাতে নেতৃত্ব দেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাদাগির অভিযোগ তুলেছেন।
আরও পড়ুন: বাড়ি আছে, ব্যাঙ্কে রয়েছে প্রচুর টাকা, কোটিপতি সৃজন! আর কী আছে বাম প্রার্থীর
সিপিএম সূত্রের খবর, আক্রান্ত কর্মীর নাম অভিক চৌধুরী। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। অভিযোগ, শুক্রবার পাটুলিতে সিপিএমের একটি জনসভা ছিল। তবে সেই জনসভায় তৃণমূলের লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুজয় মিত্র নামে এক তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। তবে সেই সময়ের মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও সভা শেষে ফের তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বচসা বাঁধে অভিক চৌধুরীর। তখনই তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা শনিবার আন্দোলনে নামেন।
তারা পাটুলিতে পথ অবরোধ করার পাশাপাশি থানা ঘেরাও করেন। আর তাতে নেতৃত্ব দেন যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাদাগিরি করার অভিযোগ তুলে সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, বোঝা যাচ্ছে তৃণমূল এবার হেরে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে। সেই কারণে ক্যানসার আক্রান্ত একজন মানুষকে মারধর করছে। তবে তাতে তৃণমূলের লাভ হবে না, বরঞ্চ মানুষ সিপিএমকেই সমর্থন করবে। নির্বাচনের সময় মানুষ সিপিএমকে বেছে নেবে।
যদিও ক্যানসার আক্রান্তকে মারধরের কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, সিপিএমের কোনও অস্তিত্ব নেই। এমনিতেই সিপিএমের সঙ্গে মানুষ নেই। ফলে তাদেরকে মারধর করার কোনও প্রয়োজন নেই। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, খবরে থাকার জন্যই সিপিএম এসব করছে। প্রসঙ্গত, শেষ দফায় আগামী ১ জুন ভোট হবে যাদবপুরে। এখানে তৃণমূলের প্রার্থী রয়েছেন সায়নী ঘোষ এবং বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। শেষ মুহূর্তে সকলেই জোর কদমে প্রচার চালাচ্ছেন।