গোটা রাজ্যজুড়েই কমবেশি একই ছবি। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বাংলা, ইংরেজি সহ প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষার বইগুলি বিনামূল্যে সরবরাহ করে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বহু স্কুলে সেই বই এখনও যায়নি। এর জেরে মহা সমস্যায় পড়ে গিয়েছে পড়ুয়ারা।
এদিকে বই না থাকায় স্বাভাবিকভাবে তারা পড়তেও পারছে না। তবে এবার বিকল্প হিসাবে উচ্চমাধ্য়মিক শিক্ষা সংসদ একটি বিশেষ উদ্যোগ নিল। উচ্চমাধ্য়মিকের প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষার সমস্ত বইয়ের পিডিএফ তারা তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। অর্থাৎ যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা এখনও বই পাননি তারা প্রয়োজনে এই পিডিএফ ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এই পিডিএফ ডাউনলোড করে নিলে আখেরে তারা তাদের বইয়ের সমস্যা মেটাতে পারবে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন সাধারণত ছাত্রছাত্রীরা বইয়ের হার্ড কপি পড়তেই অভ্যস্ত। সেক্ষেত্রে এভাবে বইয়ের পিডিএফ ভার্সন কতটা সুবিধা হবে পড়ুয়াদের সেই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে গরমের ছুটির পরেই ক্লাস শুরু হয়ে যাবে। ১০ জুন থেকে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বই কবে পাওয়া যাবে তা নিয়ে একটি চিন্তা থেকেই গিয়েছে।
কিন্তু সমস্ত ছাত্রছাত্রীর পক্ষে কি বই ডাউনলোড করে পড়া সম্ভব? সকলেই যে কলকাতা শহরের বাসিন্দা এমনটা নয়। তাছাড়া এখনও বাংলার এমন প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে যেখানে ইন্টারনেট যথাযথভাবে পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইট থেকে বই ডাউনলোড করে তা পড়ার ক্ষেত্রে একটা সমস্যা থেকেই গিয়েছে।
তবে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সংসদের ওয়েবসাইটে বাংলা, ইংরেজি সহ প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষার সমস্ত বই পিডিএফে মিলবে। পড়ুয়া ও শিক্ষক শিক্ষিকারা সেই বই ডাউনলোড করতে পারেন।
তবে সামগ্রিক পরিস্থিতিতে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। বই ডাউনলোড করার মতো পরিকাঠামো অনেকেরই নেই। প্রত্যন্ত এলাকায় যারা থাকেন তাদের অনেকেরই প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা থাকতেই পারে। সেই সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে কেন আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হল। সংসদের দাবি প্রথম ও দ্বিতীয় ভাষার বই আট লক্ষেরও বেশি ছাপাতে হচ্ছে। জুন মাসের শেষ দিকে বই পাওয়া যেতে পারে। এখানেই প্রশ্ন কেন এনিয়ে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হল। তাছাড়া যে সমস্ত বই দোকান থেকে কিনতে হবে সেই ধরনের বইও যথাযথ মিলছে না।
তবে শুধু মধ্য়শিক্ষা পর্ষদের বলে নয়, কেন্দ্রীয় বোর্ডের একাধিক বইও ঠিকঠাক মিলছে না বাজারে।