অনেকেই রাত করে বাড়ি ফেরেন। এমনকী রাতেও ডিউটিতে থাকেন অনেকে। কিন্তু রাতে কারোর অফিস থাকলে ফিরবেন কীভাবে? তবে ভুক্তভোগীদের দাবি, রাতের কলকাতায় বহু জায়গায় গণপরিবহণ মেলে না। এমনকী বালিতে একটু রাতের ট্রেনে নামার পরে কেউ যদি দমদমের দিকে আসতে চান তবে বাস পেতে চরম ভোগান্তি হয় তাঁদের।
একাধিক জায়গায় অটো সহ অন্যান্য যানবাহনও রাতে বন্ধ হয়ে যায়। কিছু জায়গায় রাত পর্যন্ত চালু থাকলেও দেখা যায় যে সেখানে ভাড়া ক্রমাগত বেশি চাওয়া হচ্ছে। তবে উৎসবের সময়তে রাতের দিকে বাস পাওয়া যায়। কিন্তু উৎসব মিটতেই আবার পরিস্থিতি যে কে সেই।
রাতের কলকাতায় বাস পাওয়া নিয়ে ঝামেলার শেষ থাকে না। এদিকে আরও একটা দুশ্চিন্তার বিষয় হল ১৫ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরে প্রচুর বাসকে এবার বাতিল করা হবে। তার জেরে কলকাতায় বাসের সংখ্য়া একধাক্কায় কমে যেতে পারে। পরিসংখ্য়ান বলছে কলকাতা শহরে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০০ বাস যাতায়াত করে। আগামী মার্চ মাসের মধ্য়ে আরও প্রায় ১৫০০ বাস বাতিলের খাতায় চলে যাবে। সেক্ষেত্রে নতুন বাস কতটা আসবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সে্ক্ষেত্রে নতুন বাস যদি সেই অনুপাতে না আসে তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। গণপরিবহনের উপর বড় ধাক্কা লাগতে পারে।
মূলত যেটা দেখা যাচ্ছে একাধিক বাস মালিক নতুন করে আর বাস নামাতে চাইছেন না। এর জেরে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। যে বাসগুলি কমে যাবে তার জায়গায় নতুন বাস দিয়ে পরিপূর্ণ না করলে আখেরে সমস্যা হতে পারে।
এদিকে রাতের শহরে সকলের পক্ষে অ্য়াপ ক্যাব ব্যবহার করাটা সম্ভব হয় না। চড়া দরের কারণে অনেকে গণ পরিবহণের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। কিন্তু বাস, অটো মেলে না। এমনকী ভোরের দিকেও বাস, অটো মেলে না। তবে একদিকে যেমন গভীর রাত পর্যন্ত কলকাতা শহরে মানুষজন ব্যস্ত থাকে। কারণ বর্তমানে কাজের ধরন ক্রমশ বদলাচ্ছে। বহু মানুষকে রাত পর্যন্ত কর্মস্থলে থাকতে হয়। কিন্তু রাত গভীর হলে সবথেকে বড় চিন্তা হল গণ পরিবহণ পাওয়া। কারণ রাত গভীর মানেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু বাস আর মেলে না। এদিকে মেট্রোও বন্ধ হয়ে যায়। আর রাতের শহরে বাসের সংকটের বিষয়টি মানছেন বাস মালিকরাও।