কলকাতার বিভিন্ন এলাকাকে কার্যত একই সূত্রে বেঁধে ফেলছে কলকাতা মেট্রো। মেট্রোর এই সম্প্রসারণের জেরে স্বাভাবিকভাবেই বহু মানুষের সুবিধা হচ্ছে। নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়া এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার মধ্য়েই দেখা যাচ্ছে একাধিক স্টেশনে বুকিং কাউন্টার তুলে দেওয়া হচ্ছে। তবে কি কর্মী সংকট? মেট্রো পরিচালনার এই যে বিরাট কর্মযজ্ঞ সেখানে কর্মী কি যথাযথ রয়েছে? সেই প্রশ্নটা এবার উঠতে শুরু করেছে।
সূত্রের খবর, একাধিক মেট্রো স্টেশনে কর্মীর সংখ্য়া যথাযথ নয়। তারপরেও যাতে মেট্রো পরিষেবায় কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে নতুন মেট্রোপথের বিভিন্ন স্টেশন মাত্র দু-তিনজন কর্মীর ভরসায় চলছে। এমনকী জোকা-মাঝেরহাট ও নিউ গড়িয়া-রুবি এই মেট্রোপথে একাধিক স্টেশনে বুকিং কাউন্টার সম্পূর্ণ তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এর সঙ্গেই মেট্রোয় বেসরকারিকরণের একটা ছায়া ক্রমশ দেখা যাচ্ছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছে কলকাতা। এই পথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মেট্রো পথে আয়ের সম্ভাবনা অন্যান্য রুটের থেকে অনেক বেশি।
আগামী বছরের মার্চ মাস নাগাদ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত রুটটি জুড়ে যেতে পারে। এই কাজ পুরোপুরি হওয়ার পরে যাত্রী পরিষেবার দায়িত্ব চলে যেতে পারে বেসরকারি হাতে। এমন সম্ভাবনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, দিল্লি মেট্রোরেল কর্পোরেশনের কাছ থেকে এনিয়ে চিঠি পাওয়ার পরে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ সেই প্রস্তুতি প্রায় সেরে ফেলেছেন বলে খবর।
মেট্রোতে বেসরকারিকরণ নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। মেট্রোয় চালকের পরিবর্তে ট্রেন অপারেটর কাম স্টেশন কন্ট্রোলার নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। গত অক্টোবর মাসে মেট্রোর কর্মী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর পরিষেবা বেসরকারি হাতে দেওয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বার্তা দিয়ে রেখেছে বলে খবর।
এরপর থেকেই মেট্রো কর্মীমহলে এনিয়ে নানা চর্চা হচ্ছে। এদিকে একাধিক কর্মী সংগঠন ইতিমধ্যেই এই বেসরকারিকরণের চেষ্টার বিরোধিতা করা শুরু করেছে। বিভিন্ন মহলে এনিয়ে তারা তাদের বার্তা পাঠিয়েছে। তবে তাদের দাবি, আমরা সর্বশক্তি গিয়ে এর বিরোধিতায় যাব। রেলবোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে আমাদের সর্বভারতীয় সংগঠন বেসরকারিকরণের উদ্যোগের বিরোধিতা করেছে। মেট্রোকর্তাদের একাংশ এর পরেো এই বিষয়ে অনড়।