গলা এপার–ওপাড় করে ফুঁড়ে ত্রিশূল ঢুকে গিয়েছে। এই ঘটনা দেখে চমকে উঠেছেন চিকিৎসকরা। কারণ রক্তাক্ত অবস্থায় আজ, সোমবার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে হাজির হন এক যুবক। তাতেই সবাই চমকে যায়। তবে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নিপুণ দক্ষতায় জটিল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচে যুবকের। কল্যাণীর ওই যুবকের বয়স ৩৩ বছর। তাঁকে তড়িঘড়ি জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার চলে। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তাই কোনও সাপোর্ট সিস্টেম ছাড়াই রয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে গলায় কেমন করে ত্রিশূল ঢুকেছে সেটা জানা যায়নি।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? হাসপাতাল সূত্রে খবর, রাত তিনটে নাগাদ নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হাজির হন এক ব্যক্তি। গলায় এফোঁড় ওফোঁড় করে বিঁধে রয়েছে এক আস্ত ত্রিশূল। ঘাড়ের পিছনে বেরিয়ে ধারাল ত্রিশূলের ফলা। আর সামনে বিঁধে ত্রিশূলের লম্বা সূঁচালো অংশ। গোটা মুখ রক্তে মাখামাখি। তখনই চোটের অংশের প্রাথমিক পরীক্ষা শুরু করেন দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক। খবর দেওয়া হয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের শল্যচিকিৎসায় দক্ষ চিকিৎসকদের কাছে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এখানে এই অবস্থায় যুবককে দেখার পর ইএনটি দফতরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডাঃ প্রণবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই জটিল অস্ত্রোপচার হয়। এই বিষয়ে চিকিৎসক প্রণবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ত্রিশূল ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই মারা যেতে পারতেন ওই যুবক। গলায় ত্রিশূল লাগার পরেও বেঁচেছিলেন। এটাই কপাল।’
আর কী জানা যাচ্ছে? চিকিৎসকদের সূত্রে খবর, শ্বাসনালী, ক্যারোটিড গ্রন্থি–সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ওই জায়গায় থাকে। তাই অস্ত্রোপচার করা জটিল। তবে সেটা সম্ভব হয়েছে প্রচণ্ড ধৈর্য্যের সঙ্গেসবাই কাজ করতে পেরেছেন বলে। খুব সাবধানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ‘পুশ অ্যান্ড পুল’ প্রক্রিয়ায় ‘ট্রাকিয়োস্টমি’ পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করা হয়।