রেশনে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ শুরু হতেই লকডাউনের দফারফা হল পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। সামাজিক দূরত্বের পরোয়া না করে বহু জায়গায় রেশন তুলতে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ল রেশন তুলতে। যা সামাল দিতে পুলিশের নাভিশ্বাস উঠল। কোথাও কোথাও পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
বুধবার থেকে শুরু হয়েছে গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্যজুড়ে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিনামূল্যে খাদ্যদ্রব্য বিলি চলাকালীন সপ্তাহে ৬ দিন খোলা রাখতে হবে রেশন দোকান। ভিড় কমাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মন্ত্রীর টোটকাতেও কাজ হল না। রেশন বিলি শুরু হতেই হামলে পড়ল জনতা।
এদিন পুরুলিয়ার বোড়ো থানার আঁকরা গ্রামে রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে কম পরিমানে খাদ্যশস্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গ্রাহকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রেশনে কম সামগ্রী দেন ডিলার। এই অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে রেশন ডিলার শিবপ্রসাদ মণ্ডলকে আটক করে পুলিশ।
রেশন তোলা নিয়ে অব্যবস্থা তৈরি হয় আসানসোলে। শহরের রাহা লেনের একটি রেশনের দোকানে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। পুলিশ তাদের নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়াতে বললে বিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
রেশন দোকানের সামনে বিক্ষোভ হয় উত্তর ২৪ পরগনার বীজপুরের পাল্লাদহে। সেখানে গ্রাহকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট পরিমানের থেকে অনেক কম খাদ্যশস্য দিচ্ছেন রেশন ডিলার। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রেশন না পেয়ে এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তাদের দাবি, কোথাও রেশন দেওয়া হলেও তা নির্দিষ্ট পরিমানের থেকে কম। কোথাও আবার দেওয়াই হচ্ছে না।
আর এসবের মধ্যেই সকাল থেকে নাজেহাল দশা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। গোটা রাজ্য থেকে তাঁর কাছে বেজে চলেছে ফোন। মন্ত্রী আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, করোনার স্বাস্থ্যবিধি ভাঙবেন না। রেশনে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য পাবেন যোগ্য প্রত্যেকেই।