বিজেপি নেতার খুনের পর রাজ্যের ২ শীর্ষকর্তাকে রাজ্যপালের রাজভবনে তলবকে কেন্দ্র করে তৈরি প্রশাসনিক সংকট কাটল কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। সোমবার বেলা ১১.৩০ মিনিট নাগাদ রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নবনিযুক্ত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিবকে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন বলে টুইটে লিখেছেন রাজ্যপাল।
রবিবার সন্ধ্যায় টিটাগড়ে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের পর রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র ও স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে তলব করেন রাজ্যপাল। সোমবার সকাল ১০টায় তাঁদের রাজভবনে যাওয়ার কথা থাকলেও কেউ যাননি। এর জেরে তৈরি হয় প্রশাসনিক সংকট। রাজ্যের ২ মুখ্য প্রশাসনিক কর্তা তাঁর তলবে হাজির না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে রাজভবনে তলব করেন তিনি। টুইটে সেকথা জানান জগদীপ ধনখড়। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রায় ৩০ মিনিট রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যসচিবের আলোচনা হয়। তার পর টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, রাজ্যের বর্তমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন মুখ্যসচিবকে জানিয়েছি। আমার বিশ্বাস রাজ্যের অধঃপাতগামী প্রশাসন ও অরাজকতার দিকে নজর দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক হিংসা ও খুন বন্ধ বওয়া দরকার।
টিটাগড়ের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় সোমবার রাত থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বারাকপুর মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায়। বিজেপির দাবি, পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মণীশকে খুন করেছে। তৃণমূলের পালটা দাবি, আগে থেকেই একাধিক খুনে অভিযুক্ত মণীশ শুক্লকে খুন হয়েছেন পুরনো শত্রুতার জেরে।