এবার দ্রোহের কার্নিভাল। জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্যোগে এই কার্নিভালের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর এবার সেই দ্রোহের কার্নিভালের কথা শুনেই কার্যত ঘুম উড়ল সরকারের। সেই কার্নিভাল বন্ধ করার আবেদন জানিয়ে এবার চিঠি দিলেন রাজ্য়ের মুখ্যসচিব।
১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল ৪টের সময় রাণী রাসমণি রোডে দ্রোহের কার্নিভালের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সকলকে সেই কার্নিভালে যোগ দেওয়ার জন্য় অনুরোধ করা হয়েছে।
এরপরই রবিবার চিকিৎসকদের দুটি আলাদা চিঠি দেওয়া হয়েছে মুখ্যসচিবের তরফে। একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে সোমবার বৈঠক। আপনাদের দুজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকুন স্বাস্থ্যভবনের এই বৈঠকে।
অপর একটি ইমেল করা হয়েছে। সেখানে হাইকোর্টের ১১ অক্টোবরের একটি নির্দেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে মঙ্গলবারই রাজ্য সরকার আয়োজিত দুর্গাপুজোর কার্নিভাল রয়েছে। সেই কার্নিভালে জনসমাগম ও আগতদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রোহের কার্নিভাল আপনারা বন্ধ করে দিন। লিখেছেন মুখ্য়সচিব মনোজ পন্থ।
এবার পুজোর আগে যখন আন্দোলন একেবারে চরম জায়গায় গিয়েছিল তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহ্বান জানিয়েছিলেন আপনারা উৎসবে ফিরুন। বাংলা কতটা উৎসবে ফিরেছে সেটা বিতর্কের বিষয় তবে আন্দোলনের তীব্রতা ক্রমশ বেড়েছে। এবার ডাক দেওয়া হল দ্রোহের কার্নিভাল।
এদিকে রেড রোডে প্রতিবছরই দুর্গাপুজোর কার্নিভাল করে সরকার। বহু পুজো কমিটি এই কার্নিভালে অংশ নেয়। বিদেশি অতিথিরাও থাকেন। এদিকে কাছেই রানি রাসমণি রোড। সেখানে দ্রোহের কার্নিভালের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সরকারি কার্নিভালের দিনই দ্রোহের কার্নিভাল হলে একটা তুলনার জায়গা থেকে যাবে। আবেগ যে জায়গায় গিয়েছে তাতে দ্রোহের কার্নিভালে জনসমাগম সরকারি কার্নিভালের থেকে বেশি হতে পারে। ফ্লপ খেতে পারে সরকারি কার্নিভাল। সেকারণেই কি এবার দ্রোহের কার্নিভাল বন্ধে উঠে পড়ে লাগল সরকার?
তবে সরকারের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পরে শেষ পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তাররা কী করেন সেটাই দেখার।
জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস রাজ্য সরকারের এই চিঠির তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁদের দাবি সরকারি কোনও উদ্যোগে তো আমরা আপত্তি করছিল না। আপনাদের পুজোর কার্নিভালে আমরা আপত্তি করছি না আপনারা কেন করছেন? তাহলে রাজপথে হচ্ছে আন্দোলন। সেখানে কেন আপত্তি করা হচ্ছে। সরকার প্রতিবাদের কার্নিভাল বন্ধ করতে যত না তৎপর ততটা তৎপর যদি সরকার অপরাধ দমনে করত তাহলে বাংলার এই অবস্থা হত না।