এবার কলকাতা বিমানবন্দরে দুই যাত্রীর কাছ থেকে বিপুল পুরিমাণ সোনা এবং এক যাত্রীর কাছ থেকে ই–সিগারেট উদ্ধার করল শুল্ক বিভাগ। মেটাল ডিটেক্টরে ফাঁকি দিয়ে বেরোতেই সন্দেহ হয় অফিসারদের। তখনই তাদের তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি করতেই বেরিয়ে পড়ে বিপুল পরিমাণ সোনা এবং ই–সিগারেট। তাদের কাছে ছিল সোনার বিস্কুটও।
সোনা ও ই–সিগারেটের মূল্য কত? শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া সোনার বাজার মূল্য এক কোটি টাকা। আর ই–সিগারেটের আনুমানিক দাম ৩০ লক্ষ টাকা। এই সব নিয়ে বিমানে করে কলকাতায় আসে দুই যাত্রী। কোথায় এই সোনা এবং ই–সিগারেট পাচার করা হচ্ছিল তা তদন্ত করে দেখছেন শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা।
ঠিক কী ঘটেছে বিমানবন্দরে? শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, মায়ানমার থেকে কলকাতায় আসে এই দুই যাত্রী। বিমানবন্দরে নামার পর তারা বাইরে বেরোবার নানা ফাঁকফোকর খুঁজছিল। তখন তারা বিমানবন্দরের বাইরে আসতে গ্রিন চ্যানেল ব্যবহার করে। মেটাল ডিটেক্টর এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আর তখনই তা নজরে আসে কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কর্তাদের। তৎক্ষণাৎ ওই দুই যাত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
আর কী জানা যাচ্ছে? শুল্ক বিভাগের আধিকারিকরা তখন ওই দুই যাত্রীকে তল্লাশি করে। আর উদ্ধার হয় সোনার বিস্কুট। তাদের কাছে প্রায় দুই কেজি সোনা ছিল, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৪ লক্ষ টাকা। দুবাই থেকে কলকাতায় আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১২৩০ পিস বিদেশি ই–সিগারেট। যার মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা। চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত এই ব্যক্তি বলে মনে করছেন শুল্ক বিভাগের আধিকারিকদের।