রাজ্যপাল পদে শপথ নিয়েই প্রথম অভিযোগপত্র পেলেন সিভি আনন্দ বোস। ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর চক্রান্ত হচ্ছে বলে তাঁকে চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। বুধবার সকালে রাজ্যপালের শপথগ্রহণে যদিও অধীরবাবু হাজির ছিলেন না। তবে পদে বসতেই রাজ্যপালকে এব্যাপারে তৎপর হতে অনুরোধ করেন তিনি।
চিঠিতে অধীরবাবু জানিয়েছেন, ঝালদা পুরসভায় আস্থাভোটে তৃণমূলি বোর্ডের পতন হতেই কংগ্রেসি কাউন্সিলরদের ওপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। এর আগে প্রাণ গিয়েছে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। রাজ্য সরকার প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঝালদা পুরসভায় প্রশাসক বসিয়ে ঘুরপথে ক্ষমতা দখলে রাখতে চাইছে। এব্যাপারে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তিনি।
গত ২১ নভেম্বর ঝালদা পুরসভায় ছিল আস্থাভোট। সেখানে ৭ – ০ ভোটে হার হয় তৃণমূলি পুরবোর্ডের। ১২ আসনের ঝালদা পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ৭টি আসন। পুরভোটের ফলে দেখা যায় ৫টি করে আসন পেয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূল ২টি আসন পেয়েছেন ২ নির্দল প্রার্থী। এর পরই খুন হন তপন কান্দু। ২ নির্দলের সমর্থনে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। এর মধ্যে তপন কান্দুর ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে জেতে কংগ্রেস। সম্প্রতি ২ নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেন। এর পর অনাস্থা আনে কংগ্রেস।
সোমবার আস্থাভোটে হাজির ছিলেন না তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলর। তবে ঝালদায় নতুন পুরবোর্ড কবে গঠন হবে তার দিনক্ষণ জানায়নি প্রশাসন। যার ফলে শুরু হয়েছে প্রশাসক বসানোর জল্পনা। কংগ্রেসের অভিযোগ, আস্থা ভোটে হারের পর থেকে ফের তাদের কাউন্সিলরদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়েছে।