রাজভবনের কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্যপাল। সেই নিয়ে বিতর্ক চলাকালীনই এবার সামনে এসেছে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা আরও এক অভিযোগ। একবছর পুরনো সেই অভিযোগ তুলেছেন নাম করা এক ওড়িশি নৃত্যশিল্পী। দাবি করা হয়, অনুষ্ঠানের নাম করে দিল্লি নিয়ে গিয়ে রাজ্যপাল সেই নৃত্যশিল্পীকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে এবার অভিযুক্ত সিভি আনন্দ বোসকে রাজ্যপালের পদ থেকে সরিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখল বাংলা পক্ষ। সংগঠনের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক কৌশিক মাইতি এই চিঠিটি লিখেছেন। (আরও পড়ুন: মনোনয়ন জমা মোদীর, ২৪'র ভোটের মুখে দেখুন বারাণসীর আগের রেকর্ড, ২২'এ এগিয়ে ছিল কে?)
আরও পড়ুন: আয়লার বর্ষপূর্তিতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় রেমাল? সাইক্লোনের গতিপথ নিয়ে জানা গেল…
আরও পড়ুন: সত্যি কি বেসরকারি হাতে চলে যাবে কলকাতা মেট্রো? দমদম স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজভবনের কর্মীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় সংবিধানের ৩৬১ নং ধারার উল্লেখ করে রাজ্যপাল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করা যাবে না। পরে পুলিশও জানায়, কোনও ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে না। তবে রাজভবনে উক্ত দিনে কী ঘটেছিল, তা জানার চেষ্টা চলছে। এই আবহে রাজভবনের কর্মীদের তলব করা হয়েছিল। তবে রাজ্যপাল কোনও কর্মীকে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে বারণ করে দিয়েছিলেন এক বিবৃতি জারি করে। এমনকী রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং পুলিশের রাজভবনে প্রবেশের ওপর 'নিষেধাজ্ঞা' জারি করেছিলেন তিনি। এই আবহে বাংলা পক্ষ রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে প্রশ্ন তুলেছে, রাজ্যপাল সাংবিধানিক রক্ষাকবচ পান। তবে একজন নির্যাতিতা কী তবে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত থাকবেন? তাই তদন্ত যাতে হয়, যাতে নির্যাতিতারা বিচার পান, তার জন্য তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মাননীয় রাজ্যপালকে সাময়িক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে ভারত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লেখে বাংলা পক্ষ। (আরও পড়ুন: বাড়বে বেতন? মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা, অপেক্ষা ১২ জুনের)
আরও পড়ুন: নির্বাচনের মাঝেই 'অঙ্ক' কষে বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যা বাতলে দিলেন অমিত শাহ!
আরও পড়ুন: পুজোর আগে সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে অবশেষে আসতে পারে বড় খবর
এদিকে সামনে আসা নতুন অভিযোগ অনুযায়ী, এক ওড়িশি নৃত্যশিল্পী রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন এর আগে। সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগের করেছিলেন এক নামী ওড়িশি নৃত্যশিল্পী। সেই অভিযোগ অনুযায়ী, গত ২০২৩ সালের জুন মাসে একটি অনুষ্ঠানের নাম করে তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিলেন বোস। সেখানে এক পাঁচতারা হোটেলে নৃত্যশিল্পীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানেই নাকি তাঁর সঙ্গে রাজ্যপাল অভব্য আচরণ করেছিলেন। তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন। এরপরই সেই নৃত্যশিল্পী নবান্নের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। পরে নবান্নের তরফ থেকে কলকাতা পুলিশকে এই বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই সেই যৌন হেনস্থার অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে।