রাজভবনের এক কর্মীকে চাকরি পাইয়ে দাওয়ার নাম করে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে। এরই সঙ্গে গতবছরে বোসের বিরুদ্ধে ওঠা অপর একটি যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে এবার বুধবার সকালে কলকাতা ছাড়লেন রাজ্যপাল বোস। রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি দিল্লি গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আবার ছিলেন আগাম জামিন পাওয়া রাজভবনের ওএসডি সন্দীপ সিং রাজপুত। (আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থার অভিযোগের মাঝে নয়া বিতর্কে রাজ্যপাল, সামনে বোসের বিস্ফোরক ভিডিয়ো)
আরও পড়ুন: 'আসন সংখ্যা নেমে...', রামকৃষ্ণ মিশন ইস্যুতে মমতার 'পতন' দেখছেন দিলীপ
উল্লেখ্য, শ্লীলতাহানি কাণ্ডে রাজভবনের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ এফআইআর করেছিল। রাজভবনের বিশেষ সচিব এসএস রাজপুত এবং দুই চুক্তিভিত্তিক কর্মী - কুসুম ছেত্রী ও সন্ত লালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগকারী বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার পরই এই পদক্ষেপ করেছিল পুলিশ। পরে সেই তিন কর্মীকে তলব করা হয়েছিল হেয়ার স্ট্রিট থানায়। তাঁদের রবিবার থানায় তলব করা হয়েছিল। তবে তাঁরা সেদিন থানায় হাজির হননি। এই আবহে পরে ফের একবার তাঁদের নোটিশ পাঠিয়ে মঙ্গলবার থানায় হাজির হতে বলেছিল পুলিশ। তবে মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ রাজভবনের ৩ কর্মীকে ৫০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। আর আজ সকালে রাজ্যপালের সঙ্গে দিল্লি গেলেন রাজপুত। (আরও পড়ুন: 'জানি না' বলেও রামকৃষ্ণ মিশনে হামলাকে 'পারিবারিক বিষয়' আখ্যা মমতার!)
আরও পড়ুন: দীর্ঘ কয়েক বছরের মামলা শেষে মাথায় হাত সরকারি কর্মীদের, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
প্রসঙ্গত, মে মাসের ২ তারিখের এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অভিযোগকারী মহিলা রাজভবনের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে যাচ্ছেন। এদিকে অন্য এক ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এফআইআর-এ নাম থাকা কুসুম ছেত্রী অভিযোগকারীর ব্যাগ হাতে নিয়ে আছেন। যা থেকে পুলিশ অনুমান করছে যে অভিযোগকারীকে আটকানোর চেষ্টায় সামিল ছিলেন কুমুসও। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, সেদিন ওই মহিলা পুলিশের কাছে যাওয়ার আগে এক সচিবের ঘরে গিয়েছিলেন। পুলিশ ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, রাজভবনের কনফারেন্স রুমে রাজ্যপালের সঙ্গে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ মিনিট ছিলেন তিনি। (আরও পড়ুন: 'এটা চাকরিজীবীদের অধিকার', মামলাকারী সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফোটাল আদালত)
আরও পড়ুন: এখনও শেষ হয়নি ভোট, এর মাঝেই আরও একদফা ডিএ বাড়ল! নির্দেশ জারি অর্থ দফতরের
জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর আগে সেই মহিলা রাজভবনের এক সচিব এবং এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এদিকে পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, কোনও ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে এই তদন্ত হচ্ছে না। বরং রাজভবনের ভিতরে কী ঘটেছিল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এখন রাজভবনের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী, রাজভবনের দোতলার অফিস ঘরে জোর করে নিগ্রহ করা, আটকে রেখে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের হয়েছে ওই তিন কর্মীর বিরুদ্ধে।