ফের মে-তে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়। করোনার লকডাউনের মধ্যে সাগরে দানা বাঁধছে প্রলয়। আর তার জেরেই শঙ্কা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে। কারণ ঠিক ১১ বছর আগে এমনই এক মে-তে উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আয়লা। প্রবল শক্তিশালী সেই ঝড়ের ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এবার নাম আলাদা, কিন্তু প্রলয়ের মাত্রায় আমফান আয়লার মতোই হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।
বুধবার আবহাওয়া দফতরের জারি করা বুলেটিনে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। পূর্বাভাস অনুসারে ১৯ – ২০ মে-র মধ্যে উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঝড়টি। বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার অফ ওয়েস্ট বেঙ্গলের পূর্বাভাস অনুসারে এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরের পরিস্থিতি ঝড়টি শক্তিশালী হয়ে ওঠার সহায়ক। ফলে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে আমফান।
২০০৯ সালের ২৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল আয়লা। তার জেরে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। ২৪ পরগনায় বাঁধ ভেঙে লোনা জলে প্লাবিত হয়েছিল একের পর এক গ্রাম। যার ফলে চাষের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল বহু জমি। কাজ হারিয়েছিলেন বহু কৃষক। মৃত্যু হয়েছিল বহু মানুষের। সেই জমির অনেকটা আজও চাষযোগ্য করে তোলা যায়নি। এক ঝড় বদলে দিয়েছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের জীবন।
এখনো পর্যন্ত পূর্বাভাসের নিরিখে আয়লার সঙ্গে অনেকটাই মিলে যাচ্ছে আমফান। তবে ঝড়টির গতিপথ ও শক্তি নির্ভর করবে আগামী কয়েকদিন সমুদ্রপৃষ্ঠের অবস্থা ও বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরের গতির ওপর।