বর্ষার আগমনের মুখে বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি। আর প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ঘূর্ণিঝড়ের নিশানা হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। এই ঘূর্ণিঝড়ে সওয়ার হয়ে রাজ্যে বর্ষা ঢুকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তবে এত তাড়াতাড়ি নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দিতে রাজি নন আবহাওয়াবিদরা।
পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ৩ জুন মায়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গনের কাছে তৈরি হবে একটি ঘূর্ণাবর্ত। ক্রমশ উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ৮ জুন সেটি পৌঁছবে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। ইউরোপীয় আবহাওয়া সংস্থার পূর্বাভাস অনুসারে ঘূর্ণিঝড়ের লক্ষ্য হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ বা ওড়িশা উপকূল। তবে ঘূর্ণিঝড়টি কবে ভূভাগে প্রবেশ করবে সেই পূর্বাভাসের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা দিন।
প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুসারে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি ছাড়াতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নিয়ে বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আল্টিমার কর্ণধার রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এখনই কিছু বলা মুশকিল। কারণ ওই একই সময় আরব সাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে। কোন ঝড়টি আগে তৈরি হচ্ছে তার ওপর তাদের শক্তি ও গতিপথ অনেকটা নির্ভর করছে।’
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের তালিকা অনুসারে যে ঝড়টি আগে তৈরি হবে তার নাম হবে ‘বিপর্যয়’, অন্যটির নাম হবে গতি।