পিনাকী ভট্টাচার্য
রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ যখন মধ্যগগনে তখন বঙ্গোপসাগরে ঘনাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। মে মাসের শেষে এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে বলে প্রথম জানিয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। আন্তর্জাতিক একাধিক সংস্থার পূর্বাভাসে সেই আশঙ্কাই সত্যি হওয়া দিকে এগোচ্ছে। আর তা যদি শেষ পর্যন্ত হয় তাহলে পণ্ড হতে পারে রাজ্যে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ। একাধিক ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে খুলতে হতে পারে ত্রাণকেন্দ্র।
আরও পড়ুন: ভোটের মধ্যে তৎপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি, BJP কর্মী খুনের তদন্তে পূর্ব মেদিনীপুরে NIA
পড়তে থাকুন: ‘পিসি-ভাইপোকে ছাড়ব না…হারিয়ে দেখাব,’ জেল থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক সন্দেশখালির মাম্পি
এখনও পর্যন্ত পূর্বাভাস অনুসারে ২২ মে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। যা শক্তি বাড়ি ২৩ মে রাতে ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হবে। প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড়টি ততটা শক্তিশালী হবে না বলে মনে করা হলেও সাম্প্রতিক পূর্বাভাস বলছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্রে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পৌঁছতে পারে। প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশা - অন্ধ্রপ্রদেশ সীমানা দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হলেও সময় যত কেটেছে তত পূর্ব দিকে সরেছে ঘূর্ণিঝড়ের পথ। রবিবার বিকেলের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে ২৫ মে মধ্যরাতে ওড়িশার পারাদ্বীপের কাছাকাছি কোনও জায়গা দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কেন্দ্রটি। আবহাওয়াবিদদের একাংশ মনে করছেন, আরও পূর্বদিকে পশ্চিমবঙ্গের কাছাকাছি এগিয়ে আসতে পারে এই ঝড়ের গতিপথ। তবে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ঝড়ের গতিপথের সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: ‘জ্ঞানেশ্বরীর দায় নেবেন তো!’ ছত্রধর প্রসঙ্গে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর
ওদিকে ২৫ মে রয়েছে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল ও উপকূলবর্তী একাধিক কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বর্তমান পূর্বাভাস অনুসারে ঘূর্ণিঝড়ের সব থেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে ওই এলাকাতেই। উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সঙ্গে ২ মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাংশে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী উপকূলবর্তী এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে নামতে হতে পারে প্রশাসনকে। স্থানীয়দের উদ্ধার করে রাখতে হতে পারে স্কুল ও ত্রাণকেন্দ্রগুলিতে। যার অনেকগুলিই হয় ভোটকেন্দ্র নয় তো কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সেখানে রয়েছেন। দুর্যোগপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ তো দূরে থাক, বাড়ি থেকে বেরনোর ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে আবহাওয়া দফতর। সেক্ষেত্রে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়ে গেলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।