পুজোর মুখে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণঝড়। সোমবারই সেকথা জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তার পর কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতে জানা গেল ঝড়ের প্রাথমিক গতিপথ। যা শেষ পর্যন্ত মিলে গেলে পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু জেলায় ঘূর্ণিঝড় তেজের প্রভাব পড়তে পারে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসের সব থেকে জনপ্রিয় GFS মডেল অনুসারে অক্টোবরের শুরুতেই উপকূলে আঘাত হানতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় তেজ। ২৭ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে একটি ঘূর্ণাবর্ত বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করতে চলেছে। ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করে ৩০ সেপ্টেম্বর উত্তর আন্দামান সাগরে সেটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর পর ক্রমশ উত্তর – পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পয়লা অক্টোবর সেটি ঘূর্ণিঝড় তেজের রূপ নিতে পারে। ওই পথ ধরে এগিয়েই ২ অক্টোবর ভূভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়টি। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুসারে ওড়িশার চিলিকা হ্রদের ওপর দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র। ঝড়ের কেন্দ্রে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১ ও ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে, উপকূলবর্তী ২ জেলা ছাড়াও পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে মধ্যমেয়াদী এই পূর্বাভাসে শেষ পর্যন্ত নিখুঁতভাবে মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে ঘূর্ণিঝড় যে একটা আসছে এব্যাপারে মোটের ওপর নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঘূর্ণিঝড় কতটা শক্তিশালী হবে তা সমুদ্রপৃষ্ঠ ও বায়ুমন্ডলের একাধিক শর্তের ওপর নির্ভর করে। তার থেকে বড় কথা, এই ঘূর্ণিঝড়টি ভূভাগে প্রবেশের ১ সপ্তাহের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।