কেন্দ্রীয় হারে DAর দাবিতে নবান্নের সামনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ধরনার বিরোধিতায় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও কান মলা খেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, ৭২ ঘণ্টা নয়, বড়দিনের কারণে ধরনা শেষ করতে হবে ৪৮ ঘণ্টায়।
এদিন আদালতে রাজ্য সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, আন্দোলনকারীরা যেখানে ধরনা দিতে চাইছেন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। তাছাড়া সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের পর মধ্যরাত থেকে ধরনা দিচ্ছেন তাঁরা। যার ফলে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যায় আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে আন্দোলনের আর কোনও প্রাসঙ্গিকতা থাকে না।
জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, বকেয়া DA-র মাত্র ১০ শতাংশ পরিশোধ করেছে রাজ্য সরকার। কর্মচারীরা কারও দয়ার দান চাইছেন না। তাঁরা শুধুমাত্র তাঁদের অধিকারটুকু চেয়েছেন।
পালটা DA আন্দোলনকারীদের আইনজীবী বলেন, আদালতের নির্দেশ মেনে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে ধরনা হচ্ছে। বরং পুলিশ প্রথম থেকেই ধরনায় অসহযোগিতা করছে। যেখানে ধরনা হওয়ার কথা সেই নবান্ন বাসস্ট্যান্ডে কর্মচারীদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। নবান্নে কোনও গাড়ি আসতে দেওয়া হচ্ছে না। আসে পাশের যাবতীয় শৌচাগার ও চায়ের দোকান বন্ধ করে রেখেছে পুলিশ।
দুপক্ষের সওয়াল শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ২৫ তারিখ যেহেতু বড়দিন তাই আন্দোলনকারীরা ২৩ ডিসেম্বর বিকেল ৪টে পর্যন্ত ধরনায় বসতে পারবেন। বাকি সমস্ত ক্ষেত্রে সিঙ্গল বেঞ্চের বেঁধে দেওয়া বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা। DA আন্দোলনকারীদের নেতা ভাস্কর ঘোষ বলেন, DA আমাদের অধিকার। আমরা তা আদায় করেই ছাড়ব। রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা অমান্য করে ধরনায় বসা গেলে নবান্নে যাবে না কেন? আর আমরা তো রাজ্য সরকারেরই কর্মী।