দীর্ঘ আন্দোলন। দীর্ঘ অনশন। এবার একের পর এক ডিএ আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। রবিবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রঞ্জন কুমার বেরা। তিনি পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁকে ক্য়ালকাটা হার্ট রিসার্চ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছিল। এদিকে এদিন বিকালে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন ডিএ আন্দোলনকারী চিন্ময় কুমার জানা। তাঁকে আমরি হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনিও প্রাথমিক শিক্ষক। আন্দোলনকারীদের দাবি, দীর্ঘ অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।
এদিকে ডিএর দাবিতে শহিদ মিনারের নীচে দিনের পর দিন ধরে অনশনে বসেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। আন্দোলনকারীদের দাবি, ৩৩দিন ধরে অনশন চালাচ্ছিলেন চিন্ময় কুমার জানা। তবে এদিন বিকালে শুয়ে থাকতে থাকতেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অত্যন্ত সংকটজনক পরিস্থিতি।
আন্দোলনকারী রাজীব দত্ত হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, রবিবার দুজন আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিকালে চিন্ময় কুমার জানা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা ঢাকুরিয়া আমরিতে তাঁকে নিয়ে এসেছি।
ডিএ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বঞ্চনার অভিযোগ। তার জেরেই আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। একেবারে নজিরবিহীন আন্দোলন। এভাবে দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মীরা, এটা আগে বিশেষ দেখা যায়নি। এমনকী সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো সুর চড়িয়েছেন তারা। সরকারও এনিয়ে পালটা চাপে রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তবুও আন্দোলনে অনড় সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। সম্প্রতি সরকারি কর্মীরা পেন ডাউন কর্মসূচিও পালন করেছিলেন। গোটা বাংলা জুড়ে তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। তবে অনশনের রাস্তা থেকে এখনও সরে আসেননি সরকারি কর্মীরা। মাঝেমধ্যেই তাঁদের মধ্য়ে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রাথমিক শিক্ষক রঞ্জন কুমার বেরা এদিন আন্দোলনস্থলেই বসেছিলেন। আচমকাই তাঁর দাঁতে দাঁত লেগে যায়। এরপর তিনি লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে সেখান থেকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর এদিন বিকালে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রাথমিক শিক্ষক চিন্ময় কুমার জানা। তিনিও প্রায় ৩৩দিন ধরে অনশন চালাচ্ছিলেন। কোনওভাবে আন্দোলনকারী সহকর্মীদের ছেড়ে যেতে চাননি। একেবারে দাঁতে দাঁত চেপে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অবশেষে এদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তবে অন্য়ান্য আন্দোলনকারীরা এদিন হাসপাতাল থেকেই হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানান, আমাদের সহকর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু আমরা আন্দোলন থেকে সরছি না। আমাদের প্রাপ্য ডিএ দিতেই হবে।