রাজ্য-রাজনীতিতে এখন বড় ইস্যু বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলন। গত কয়েকদিন ধরে অনশন করছেন এবং কর্মবিরতির পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি কর্মী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এমনকী দু’একজন অসুস্থ হয়ে পড়লেও মঞ্চ ছাড়তে রাজি নন তাঁরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মঞ্চ ছাড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু আজ, বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই বদলে গেল দৃশ্যটা। ফাঁকা হয়ে গেল শহিদ মিনারের কাছে তৈরি ধরনা মঞ্চ।
কিন্তু কেন মঞ্চ ছাড়লেন সরকারি কর্মীরা? আজ এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাই আন্দোলনকারী কর্মীদের উপস্থিতি কম দেখা গিয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষায় যাতে কোনও ছাত্রছাত্রীর অসুবিধা না হয় তাই মঞ্চ ছেড়ে কাজে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। পরীক্ষা শেষ হলেই আবার যোগ দেবেন আন্দোলনে। এই ঘটনা মানবিক দিক তুলে ধরেছে। এই মঞ্চে আন্দোলনরত অনেকেই শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। তাঁরা কাজে যোগ না দিলে মাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বুধবার থেকেই অনেকে ফিরে গিয়েছেন।
আন্দোলন থেকে কি সরে এলেন তাঁরা? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘আমরা ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তারা জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিচ্ছে। তাই তাদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেদিকে তাকিয়ে কাজে ফিরেছেন অনেকে। কয়েকজন এখনও মঞ্চে আছেন। তবে বেশিরভাগ কর্মীই চান মাধ্যমিক পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠভাবে হয়। তারপর পরীক্ষা শেষ হলেই রাতে আন্দোলনকারীরা মঞ্চে ফিরবেন।’ ৩৯ শতাংশ ডিএ বকেয়া রয়েছে। এবার সেটার দাবিতে চলছে আন্দোলন। সম্প্রতি রাজ্য সরকার ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করেছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই আন্দোলন করতে গিয়ে বুধবার রাতেই অনশন মঞ্চ থেকে ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষকে। তিনি অনশন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পাহাড়ে বনধ থেকে সরে গিয়েছেন নেতারা মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য। হাই মাদ্রাসা পরীক্ষার জন্য ৯ মার্চের ধর্মঘট পিছিয়ে ১০ মার্চ করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা যাতে না হয়, সেদিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup