দীর্ঘদিন ধরেই ডিএর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারি কর্মীরা। আর শনিবার ছিল তাঁদের মহামিছিল। আন্দোলনের শততম দিনে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা মিছিল বের করেন। আর সেই মিছিল একেবার মুখ্য়মন্ত্রীর পাশের পাড়া ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে যেতে শুরু করে। এদিকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে জেলা সফরে রয়েছেন। নবজোয়ার চলছে জেলায় জেলায়। আর এদিন যেন ডি এ আন্দোলনকারীদের মিছিলেও একেবারে নবজোয়ার, বলা ভালো ভরা জোয়ার। আর কলকাতায় সেই অভিষেকের বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিল ওই মিটিং। মিছিল থেকে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায় সেকারণে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করা ছিল। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে মিছিল এসে পৌঁছতেই শুরু হল চোর চোর স্লোগান।এমনটাই দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে এদিন অভিষেকের বাড়ির কাছেই রবীন্দ্র জয়ন্তীর মহড়া চলছিল। তীব্র শব্দে বাজছিল রবীন্দ্রগান। তাতে কিছুটা চাপা পড়ে যায় এই স্লোগান। অনেকের মতে, ডিএর স্লোগান চাপা দিতেই বিশেষ কৌশল নিয়েছিল তৃণমূস।
আচমকাই এই চোর স্লোগান শুনে সচকিত হয়ে যান অনেকেই। তবে আন্দোলনকারীরা এই ধরনের স্লোগানের কথা মানতে চাননি। তবে শান্তিনিকেতনের শান্তি যেন কোনওভাবেই বিঘ্নিত না হয় সেজন্য দ্রুত তৎপর হয় পুলিশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বাড়ির নামই শান্তিনিকেতন। তবে শুধু অভিষেকের বাড়ির সামনে নয়, হাজরা রোডের কাছে যখন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মিছিল যাচ্ছে তখনও শোনা যায় চোর চোর স্লোগান। একেবারে জেলা থেকে দলে দলে সরকারি কর্মীরা এসে জড়ো হয়েছিলেন এই মহামিছিলে। হাজরা ফায়ার ব্রিগেড এলাকা থেকে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ র দাবিতে সরব হন তাঁরা।
হরিশ মুখার্জি রোড, এসপি মুখার্জি রোড সহ বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে এই মিছিল। দুপুর ১টায় হাজরা মোড় থেকে এই মিছিল শুরু হয়েছিল। এরপর এই মিছিল শহরের বিভিন্ন রাস্তার পরিক্রমা করে। তবে এদিন বাস্তবিক অর্থেই মহামিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিশাল মিছিল দেখে হতবাক হয়ে যান অনেকেই। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হল।
এদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এই সভায় অংশ নিয়েছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী সোনালি গুহ এদিন ডিএ আন্দোলনকারীদের সভায় যোগ দেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, দিদি আপনিই তো বলতেন কেন্দ্রীয় হারে সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে হবে। তবে এখন তো আপনি ক্ষমতায় রয়েছেন। আপনি কেন তাদের কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিচ্ছেন না? কোনওদিন তৃণমূলে ফিরব না। তবে লোকে বলবে চোরের দল।