রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA দেওয়ার থেকে কল্যাণমূলক প্রকল্প চালানোই রাজ্য সরকারের অগ্রাধিকার। স্পষ্ট করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। DA মামলায় রাজ্যের পেশ করা হলফনামা নিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। শাসকের এই যুক্তিকে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
DA মামলায় হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশ মেনে DA দিতে গেলে রাজ্যে অপ্রত্যাশিত আর্থিক সংকট তৈরি হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষে কল্যাণমূলক প্রকল্প বন্ধ করা সম্ভব ন.।
এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের শীর্ষনেতা তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই মুহূর্তে আর্থিক যে পরিস্থিতি এবং যে প্রকল্পগুলির মাধ্যমে অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষকে উনি স্বাবলম্বী করে তুলেছেন সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া যাচ্ছে না। সরকারি কর্মচারীরা তো সংগঠিত ক্ষেত্রে রয়েছেন। কিন্তু বাংলার ১০ কোটি মানুষ তো সরকারি কর্মচারী নন। এর মধ্যে অনেকে দিন আনে দিন খায়। ওই গরিব মানুষগুলোর জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করছেন বলেই অর্থনীতিতে টান পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চই ডিএ দিয়ে দেবেন। আমাদের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। যে মানুষটা রোজ খেতে পায়, সপ্তাহে একদিন, ২ দিন মাছ খায় তার থেকে যে লোকটা রোজ বাজার করতে পারে না তার কথা আগে ভাবতে হবে’।
এই নিয়ে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যের যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। একজন মানুষ নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে সরকারি চাকরি পান। DA পাওয়া অধিকার। রাজ্য সরকারকে কল্যাণমূলক প্রকল্প চালাতে হবে বলে সরকারি কর্মীদের DA থেকে বঞ্চিত করতে পারে না। এভাবে চলতে থাকলে মেধাবীরা আর রাজ্য সরকারি চাকরিতে যোগ দেবেন না। ফলে সরকার পরিচালনা ও পরিষেবার মান পড়ে যাবে।’