একটা একটা করে তিনদিন পার। মায়ের মৃতদেহ আগলে মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণী। রবিবার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। কার্যত রবিনসনকাণ্ডের ছায়া এই ঘটনায়। প্রসঙ্গত ২০১৫সালে কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে দেখা গিয়েছিল প্রায় মাস ছয়েক ধরে দিদির দেহ আগলে ছিলেন পার্থ দে নামে এক ব্যক্তি। এবার ট্যাংরার ঘটনাতেও হতবাক প্রতিবেশীরা। তবে তাঁদের দাবি কিছুটা মানসিকভারসাম্যহীন ছিলেন ওই তরুণী। বাড়িতে মা ও মেয়েই মূলত থাকতেন। রবিবার সকালে ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। এনিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে নানা সন্দেহ দানা বাঁধে। এরপর তাঁরা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। পুলিশ বাড়িতে ঢোকে। এরপরই বাড়ির একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় মায়ের দেহ। মৃতের নাম কৃষ্ণা দাস। মৃতদেহের পাশেই বসেছিলেন মেয়ে সোমা দাস। পুলিশ গিয়ে দেখে মৃতের শরীরে পচন ধরে গিয়েছে। তবুও তার পাশেই বসে রয়েছেন মেয়ে। কিন্তু কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অন্য়ান্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে শীল লেনের ওই বাড়িতে মেয়েকে নিয়ে থাকতেন মা। তাঁর তিন মেয়ে। অন্য দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সোমার বিয়ে হয়নি। সোমার বাবা পেশায় রেলকর্মী বাড়িতে বিশেষ আসতেন না। এদিকে সোমার মানসিক সমস্য়া ছিল। পাড়ার কারোর সঙ্গেই বিশেষ তাঁদের যোগাযোগ ছিল না। এমনকী পাড়ার কাউকে কাছে ঘেঁষতে দিত না সোমা। এমনকী বাড়ির কাছে কেউ এলে থালাবাসন ছুঁড়তেন সোমা। সেকারণে ওই বাড়ির সম্পর্কে কেউ বিশেষ খোঁজখবর নিতেন না। কৃষ্ণা সাহার মৃত্যুর তিনদিন পরেও সেজন্য কেউ জানতে পারেননি।