বৃহস্পতিবার সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর। আর সেই ঘটনার রেশ টেনেই এবার সলিসিটার জেনারেল পদ থেকে তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে একাধিক বৈঠক করেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই বৈঠকগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতার সঙ্গে। আর এই বৈঠকের পরই একের পর এক তোপ দাগতে শুরু করে তৃণমূল। এই আবহে এবার প্রধআনমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখে তুষার মেহতার অপসারণ চাইলেন তৃণমূল। চিঠিতে স্বাক্ষর ছিল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, ডেরেক ও'ব্রায়েন এবং মহুয়া মৈত্র।
বৃহস্পতিবার তুষার মেহতার সঙ্গে শুভেন্দু দেখা করার পরই সরব হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। প্রসঙ্গত, তুষার মেহলা নারদ মামলায় সিবিআই পক্ষের আইনজীবী। সেই মামলায় শুভেন্দু অধিকারী অন্যতম অভিযুক্ত। এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, এরপরে হয়ত দেখা যাবে শুভেন্দু আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানাবেন এবং সিবিআই সেই আবেদনের বিরোধিতা করবে না। কুণালের এহেন অভিযোগ নিয়ে শুভেন্দুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'জেল খাটা আসামীর মন্তব্য নিয়ে আগেও কিছু বলিনি, এখনও বলব না।'
এরপরই কুণাল ঘোষ পালটা টুইট করে লেখেন, ‘হ্যাঁ আমি জেলবন্দি ছিলাম। কাদের ষড়যন্ত্র সবাই জানেন। তার পরেও মাথা উঁচু করে লড়েছি। জেলের ভয়ে দলবদলে পাশের পাড়ার জেঠুকে বাবা বলে ডাকতে যাইনি। তফাৎটা মেরুদণ্ডে। আজ যে জেল এড়াতে ঘুরছে, তাকেও বন্দি হতেই হবে।’ এরপর এদিন ফের শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়ে কুণাল লেখেন, ‘ভাই, আমি জেলে গেছিলাম বলে তুমি নাকি উত্তর দাওনি। তা যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরোলে, তিনিও তো জেলেই ছিলেন। জবাব না থাকলেই এরকম ছেলেমানুষি করে ফেলো তুমি। যাক, দলবদলেও বাঁচবে কি? কোন্ জেলে থাকবে, এখন থেকে ঠিক করে রাখো। দিন গোনা শুরু।’