নির্যাতিতা নিহত চিকিৎসকের পরিবার অভিযোগ করেছিলেন দেহ যখন বাড়িতে ছিল তখন ডিসি নর্থ বাড়ির একটি গলিতে ঢুকে টাকার অফার করেছিলেন। টাকার প্যাকেট বের করেছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন তাঁরা। এবার সেই ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। বুধবার রাতে তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে দেখা করতে যান। ঘণ্টাখানেক তিনি সেখানে ছিলেন। পরে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
তবে তিনি এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে পুলিশের তরফে আগেই দাবি করা হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবারকে টাকার কোনও অফার করা হয়নি।
এদিকে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ চাইছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে চিঠি দিয়েও সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। দাবির ভিত্তিতে তাঁরা স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্নাতে বসেছেন। তার মাঝেই ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই।
তবে সিবিআই ঠিক কোন ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন তা পরিস্কার নয়। এদিকে নির্যাতিতার বাবা মাকে পুলিশ টাকার অফার করেছিল কি না এনিয়ে নানা টানাপোড়েন রয়েছে। একটা সময় নির্যাতিতার বাবা মা দাবি করেছিলেন টাকার অফার কেউ করেননি। পরে আবার তাঁরাই বলেন, আমাদের জোর করে এনিয়ে ভিডিয়ো করা হয়েছিল। তবে যার বিরুদ্ধে তাঁরা এই অভিযোগ করেছিলেন সেই ডিসি নর্থকেই ডেকে পাঠাল সিবিআই।
এদিকে টাকার অফার নিয়ে গোটা পর্ব জুড়ে জোর জলঘোলা হয়েছিল।
বডি পড়ে রয়েছে বাড়িতে। পুলিশের বড়কর্তারা এসেছেন আরজি করে মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে। আর সেই বাড়িতেই টাকার অফার করেছিলেন পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক। সম্প্রতি একথা জানিয়েছিলেন নিহত চিকিৎসকের বাবা। জানিয়েছিলেন নিহত চিকিৎসকের কাকিমা। সেই সাক্ষাৎকারের জেরে তোলপাড় গোটা রাজ্য। কতটা অমানবিক হলে তবে পুলিশ এই কাজ করতে পারে? টাকা দিয়ে কি মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল? প্রশ্ন তুলছে গোটা বাংলা।
এরপরই সামনে এসেছে অপর একটা ভিডিয়ো। কলকাতা পুলিশের তরফে একটি ভিডিয়ো সামনে আনা হয়েছিল। যেখানে দাবি করা হচ্ছে, সেখানে দাবি করা হচ্ছে নির্যাতিতা চিকিৎসকের পরিবারকে কোনও রকম টাকার অফার করা হয়নি। তৃণমূলও সেই ভিডিয়ো নিয়ে আসরে নেমে পড়েছে। মন্ত্রী শশী পাঁজা সেই ভিডিয়ো নিয়ে নেমে পড়েন। টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়নি বলে সেই ভিডিয়োতে নির্যাতিতার পরিবারকে বলতে শোনা গিয়েছে।
তবে এখানেই বিষয়টি শেষ নয়। এবার নির্যাতিতার বাবা মায়ের দাবি জোর করে সেই ভিডিয়োতে বলানো হয়েছিল। পরিবারের দাবি ভিডিয়োতে যা বলেছি তা বলতে বাধ্য হয়েছি।
প্রসঙ্গত ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী দাবি করেছিলেন পুলিশ টাকার অফার করেছিল। এরপর ১১ অগস্ট পুলিশ একটি ভিডিয়ো করে রাখে যেখানে পরিবারকে বলতে শোনা যায় যে কোনওরকম টাকার অফার করেনি। প্রসঙ্গত সেই সময় তদন্তভার ছিল কলকাতা পুলিশের হাতে। তবে কি পরিবারের লোকজন যদি পরবর্তীতে এই টাকার অফার নিয়ে মুখ খুলে ফেলেন সেকারণেই আগেভাগে চাপ দিয়ে টাকার অফার হয়নি বলে ভিডিয়ো করে রেখেছিল পুলিশ?
নির্যাতিতার কাকিমা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, টাকার অফার করা হয়েছিল ৯ তারিখ। যেদিন মেয়ের দেহ ঘরে রাখা। টাকার অফার করেছিল। সুবর্ণ গোস্বামী স্যার মিডিয়াতে বলার পরে সেই রাতেই ভিডিয়োটা রেকর্ড করা হয়েছিল। ১১ তারিখ রেকর্ড করা হয়েছিল। রাতে এটা রেকর্ড করা হয়েছিল। বিস্ফোরক নির্যাতিতার কাকিমা।