ফের খবরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। মেসের মধ্যে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এক পড়ুয়ার। মৃত ছাত্রের নাম প্রতীপ কুমার মান্না (২১)। আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ওই ছাত্র। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, প্রতীপের অসুস্থতার খবর পেয়ে তারা কলকাতায় আসেন। সেখানে এসে দেখেন তাদের ছেলে মৃত। এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যাদবপুরের মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পুজোর নতুন বস্ত্র উপহার দেবাংশুর
জানা গিয়েছে, প্রতীপ পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সার্ভে পার্ক থানা এলাকার সন্তোষপুরে একটি মেসে ভাড়া থাকতেন। সেই মেসেই তার রুমমেট হিসেবে থাকেন অর্ক মাইতি নামে আরও এক পড়ুয়া। তার দাবি, প্রতীপ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ওষুধ কিনতে বলেছিলেন। সেই মতো তিনি প্রতীপের জন্য ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে রাত ৮টার দিকে দেখেন ঘরের মধ্যে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন প্রতীপ। সঙ্গেসঙ্গে তিনি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেইসঙ্গে পরিবারের সদস্যদেরও খবর দেন। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
যুবকের দাবি, প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কেপিসি হাসপাতালে। তবে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। যদিও ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর আসল জানা যাবে।
এদিকে, খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন পরিবারের সদস্যরা। এক আত্মীয় জানান, তারা খবর পেয়েছিলেন ছেলে অসুস্থ। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন মারা গিয়েছে। এই ঘটনায় রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। পরিবারের দাবি, প্রদীপ যথেষ্ট মেধাবী ছিলেন। তবে হস্টেলে থাকতেন না মেসে থাকতেন।
এদিকে, বিষয়টি সম্পর্কে বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সুনীতা অধিকারী জানান, প্রতীপ অসুস্থ ছিলেন। তিনি নিয়মিত ক্লাসে যেতেন না। এমনকী অনেক পরীক্ষাও দেননি। তিনি জানতে পেরেছেন মেসে অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন তিনি। অন্যদিকে, ছাত্রের শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ মিতালি দেব।