যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের পরদিনই পদত্যাগ করলেন ডিন অফ সায়েন্স সুবিনয় চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ছাত্র মৃত্যুর পর তাঁকে মাথায় রেখে তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। সেই সুবিনয় চক্রবর্তী রবিবার সকালে পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেন কর্তৃপক্ষকে। পদত্যাগের কারণ তিনি ব্যক্তিগতই জানিয়েছেন। তার এই পদত্যাগের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ছাত্র মৃত্যুর তদন্ত কিছুটা ধাক্কা খেল।
শনিবার রাতে অঙ্কের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে অস্থায়ী উপাযার্চের দায়িত্ব দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার ঠিক পরদিনই এই পদত্যাগ নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা।
(পড়তে পারেন। মুখচোরা ছেলেগুলোর এমন কাণ্ড! অবাক পাড়া-প্রতিবেশী, মামলার খরচ নিয়েও চিন্তা)
এদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকলেও অফিসে আসেন সদ্য দায়িত্বে নেওয়া উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। এর পরই দুপুর নাগাদ নিজের পদত্যাগ পত্র ইমেলের মাধ্যমে উপাচার্যকে পাঠিয়ে দেন সুবিনয় চক্রবর্তী। ব্যক্তিগত কারণেই তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েন ডিন অফ সায়েন্স। তবে অনেকই মনে করছেন এর পিছনে অন্যকোনও কারণ থাকতে পারে। তবে উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পরই এই পদত্যাগ নানা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।
গত ৯ অগস্ট প্রথমবর্ষের ছাত্রে মৃত্যুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি কমিটি তৈরি মাথায় রাখা হয় সুবািনয় চক্রবর্তীকে।
(পড়তে পারেন। ‘প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখেই সিসিটিভি নিয়ে সিদ্ধান্ত!’ছুটির দিনে JU-তে নতুন উপাচার্য)
তদন্ত চলাকালীন তিনি পড়ুয়াদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একাধিকবার হস্টেলেও যান। তিনি বেশ কয়েকবার বৈঠকও যাদবপুরের পড়ুয়া এবং অধ্যাপকদের সঙ্গে। ইতিমধ্যে তিনি একটি রিপোর্টও দিয়েছেন। তাঁর রিপোর্টকে কেন্দ্র করে বিতর্কও তৈরি হয়। রিপোর্টে তিনি লেখেন বগুলার ওই ছাত্রের আত্মহত্য করেছেন। এই রিপোর্টকে কেন্দ্র অধ্যাপক এবং পডুয়াদের মধ্যেও অসন্তোষ তৈরি হয়।
তবে এই পদত্যাগকে কেন্দ্র করে অন্য ব্যখ্যাও উঠে আসছে। অস্থায়ী উপাচার্যের দৌড়ে বুদ্ধদেব সাউয়ের পাশাপাশি সুবিনয় চক্রবর্তীও ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর কমিটিতে এই দুই নাম নিয়ে আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত রাজ্যপাল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেই উপাচার্য নিয়োগ করেন। তার ঠিক দিন পর দিনই তিনি ইস্তফা দিলেন। তার এই ইস্তফার ফলে তদন্ত ধাক্কা খায় কি না এখন সেটাই দেখার।