পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়ে পুরুষদের থেকে মহিলাদের মৃত্যুর হার বেশি। মৃত্যুর হার বেশি ষাটোর্ধ্ব প্রবীণদের মধ্যেও। সোমবার এক বিস্তারিত রিপোর্টে একথা জানাল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। দফতরের তরফে ওই বুলেটিনে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৬৬ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে আনুসাঙ্গিক উপসর্গ নিয়ে। মৃত্যুর জন্য করোনা প্রত্যক্ষভাবে দায়ীী ৩৪ শতাংশ ক্ষেত্রে।
রাজ্য সরকারের রিপোর্ট অনুসারে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত ০-১৬ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ৩০০ জনে ১ জন। ১৬ – ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ৬০০ জনে ১ জন। ৩০-৪৫ বছরের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ৩০০ জনে ৫ জন। ৪৫ – ৬০ বছরে মৃত্যুর হার ৭ শতাংশ। ৬০ – ৭৫ বছরের মধ্যে মৃত্যুর হার ১৫.৪ শতাংশ। আর ৭৫ বছররে ওপরে মৃত্যুর হার প্রায় ২১ শতাংশ।
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে স্পষ্ট, ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে করোনা নিছকই সাধারণ জ্বর মাত্র। কিন্তু তার ওপরে যত প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে ততই ভয়াল রূপ ধারণ করে সে। কিন্তু করোনাভাইরাস মারাত্মক সংক্রামক হওয়ায় সর্তকতাবিধি উপেক্ষা করার কোনও উপায় নেই।
আনুসাঙ্গিক উপসর্গেরও বিস্তারিত তথ্য পেশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তাতে দেখা যাচ্ছে, সব থেকে বেশি মানুষের ক্ষেত্রে আনুসাঙ্গিক উপসর্গ হিসাবে কাজ করেছে হাইপারটেনশন। নবীন থেকে প্রবীণ, সবার ক্ষেত্রেই মূল আনুসাঙ্গিক উপসর্গ এটি। এর পরেই রয়েছে ডায়াবেটিস। তার পর রয়েছে হৃদরোগ।
রাজ্য সরকারের পেশ করা তথ্য অনুসারে পুরুষদের মধ্যে ২৭ শতাংশ ও মহিলাদের মধ্যে ২৯ শতাংশ করোনায় মৃতের হাইপারটেনশন ছিল। পুরুষদের ১৯ শতাংশ ও মহিলাদের ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে মৃতের ছিল ডায়াবেটিস।