বিতর্কের রেশ বাড়তেই ফেসবুক পোস্ট মুছলেন রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। যে পোস্টে তিনি দাবি করেছিলেন, শেষ এক বছরে ‘গঙ্গার জল’ তৃণমূল কংগ্রেসে ‘ড্রেনের জল’ মিশেছে। যদিও পোস্ট ডিলিট করার পর দেবাংশুর দাবি, বিষয়টি সবাইকে বোঝাতে পারেননি। তাই ডিলিট করে দিয়েছেন।
গত বছর ২ মে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরিয়েছিল। যে নির্বাচনে বিপুল সংখ্য়াগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার রাজ্যের মসনদ দখল করেছে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সেই বিপুল জয়ের বর্ষপূর্তির ঠিক আগেরদিন রবিবার ফেসবুকে দেবাংশু লেখেন, 'গত বছর ঠিক আজকের দিন পর্যন্ত রাজ্যে যে তৃণমূলটা ছিল, সেটাই নিষ্কলুষ, ধান্দাবাজহীন, অকৃত্রিম, প্রকৃত তৃণমূল। তারপর তো বন্যা এল! গঙ্গার জল, ড্রেনের জল সব মিলেমিশে একাকার! তবুও দলে একটা স্ট্রং ফিল্টার আছে বলেই বিশ্বাস। তাঁরা পিছনের সারিতেই থাকবেন, সেটাও বিশ্বাস করেন দলের কর্মীরা।'

দেবাংশুর সেই পোস্ট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। প্রশ্ন উঠতে থাকে, গত বছর ২ মে থেকে তৃণমূলে যে নেতাদের ‘ঘর ওয়াপসি’ হয়েছে বা বাবুল সুপ্রিয়ের মতো যে নেতারা বিজেপি থেকে এসেছেন, তাঁদেরই কি নিশানা করেছেন দেবাংশু? যিনি বিধানসভা ভোটের প্রচারপর্বেও কার্যত দাবি করেছিলেন, যে নেতারা তৃণমূল ছেড়ে গিয়েছেন, তাঁদের ফেরানো হবে না। সেই পরিস্থিতিতে দেবাংশুর পোস্ট থেকে দুইয়ে দুইয়ে চার করে নেয় রাজনৈতিক মহল।

যদিও সেই বিতর্কের মধ্যে পোস্ট ডিলিট করে দেন দেবাংশু। সঙ্গে নয়া একটি পোস্টে লেখেন, ‘শেষ পোস্টের অর্থ হয়তো ঠিকঠাক বোঝাতে পারিনি। অকারণে বিতর্ক হচ্ছে। তাই পোস্ট ডিলিট করলাম। কর্মীরাই দলের সম্পদ। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। দলের সিদ্ধান্তের উপর ভরসা রাখতে হবে। এই দলে কর্মীদের স্বার্থ সবার আগে দেখা হয়। কারণ এই দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।' তাতে অবশ্য বিতর্ক থামেনি। বরং তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।