বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Debangshu Bhattacharya: ‘ভাই বোনদের চাকরির জন্য কারও কাছে অন্যায় দরখাস্ত করিনি’, ফেসবুকে দাবি দেবাংশুর

Debangshu Bhattacharya: ‘ভাই বোনদের চাকরির জন্য কারও কাছে অন্যায় দরখাস্ত করিনি’, ফেসবুকে দাবি দেবাংশুর

তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।

সোমবার নিজের ফেসবুক পোস্টে বাড়িতে কে কী কাজ করেন সেই সমস্ত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাবা মোটামুটি রোজগার করতেন, আজ তা অনেকটাই তলানিতে এসে ঠেকেছে। মা গৃহবধূ। বাড়ির ১ কাকা ৬০-এর দোরগোড়ায় এসেও ১৩ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে গিয়ে টুপি, মোজা বিক্রি করেন।’

সিপিএমের আমলে চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি ইমেল অ্যাড্রেস চালু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে এই ইমেল অ্যাড্রেস সর্বসমক্ষে আনা হয়েছে। বামফ্রন্ট আমলে যোগ্য হয়েও বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী কারা? তার তালিকা তৈরি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ইমেল আইডি জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেলের প্রধান ও দলের রাজ্য মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। তারপরেই পরিবারের কে কী কাজ করে রোজগার করেন তার বিস্তারিত তথ্য নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তুলে ধরলেন দলের রাজ্য মুখপাত্র।

দেবাংশু সোমবার নিজের ফেসবুক পোস্টে বাড়িতে কে কী কাজ করেন সেই সমস্ত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি লিখেছেন, ‘বাবা মোটামুটি রোজগার করতেন, আজ তা অনেকটাই তলানিতে এসে ঠেকেছে। মা গৃহবধূ। বাড়ির ১ কাকা-৬০ এর দোরগোড়ায় এসেও ১৩ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে গিয়ে টুপি, মোজা বিক্রি করেন। আরেক কাকা ৭০ পেরিয়েছেন, মাস ৬ আগে অবধিও বাজারে প্লাস্টিক বিছিয়ে বারমুডা, মাস্ক বিক্রি করতেন। শরীরের অবস্থার জন্য আজ আর পারেন না। ৭০ পেরোনো আরেক কাকার ৫৫ বছর বয়সি স্ত্রী, আমার কাকিমা ঘরে ভাই বোনেদের রেখে আয়ার কাজ করতে যান। রাত্রি, দিন দুই শিফটে। ৬০ পেরোনো কাকার ৫০ ছুঁই ছুঁই কাকিমা বিকেলে রুটি বিক্রি করেন। দুজনেরই ছেলে-মেয়েরা বছর খানেক হল ছোটখাটো কাজ করছে। কিন্তু স্বচ্ছল ভাবে কারওরই চলে না।’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক দুর্নীতিতে তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের নাম জড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবে পঞ্চায়েত ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সেই কথা মাথায় রেখে নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রেক্ষাপটে দেবাংশুর এই পোস্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

নিজের বাড়ি সম্পর্কে দেবাংশু ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘২০১৭ সাল পর্যন্ত এক কাঠার সামান্য বেশি জায়গায় একতলা প্রায় ভেঙে পড়া একটা বাড়িতে আমরা ১৭ জন সদস্য একসাথে থাকতাম। ঠাকুমা মারা যাওয়ার পর বাবারা চার ভাই মিলে ঠিক করেন বাড়িটা এবার থাকার মতো করে করতে হবে। আমার এই দুই কাকা বড় অঙ্কের লোন নিয়ে বাড়ি তৈরির কাজে নামেন। ২০১৯ সালে ওই এক কাঠা জায়গাতেই কোনওরকমে একটা দোতলা বাড়ি তৈরি করা হয়। কিন্তু সেই লোন আজও সেভাবে শোধ হয়নি।’ কেন এই ফেসবুক পোস্ট সেই ব্যাখ্যাও করেছেন দেবাংশু। তিনি লেখেন, ‘এসব কথা আজ বললাম, কারণ তথাকথিত "সর্বহারা"দের চতুর্দিকে যা অবস্থা দেখছি তাতে ভিতরে একটা অদ্ভুত বাজে অনুভূতি হয়। ভালো লাগেনা.. যন্ত্রণা হয়.. রাজনীতি নিজের ভালোর জন্য, নাকি সমাজের ভালোর জন্য? আজ অবধি কোনও মন্ত্রীর কাছে অন্যায় দরখাস্ত করিনি, কোনও ভাই-বোনেদের চাকরির জন্য "চিরকুট" জমা দিইনি। রাত্রিবেলা হয়তো তাই শান্তিতে ঘুমাতে পারি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, যতদিন রাজনীতি করব, যেন সমস্ত কালি, সমস্ত দাগ এড়িয়ে চলতে পারি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেন সত্যি সত্যিই অনুসরণ করে বাকি রাজনৈতিক জীবনটা কাটিয়ে ফেলতে পারি। আর কখনও যদি গায়ে কালি লাগে, সেদিনই যেন নির্দ্বিধায় মৃত্যু ধেয়ে আসে আমায় গ্রাস করতে।’

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন